
নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকায় মিলছে না শ্রমিক সেবা। কর্মে ফাঁকি, অবৈধভাবে ভবন দখল, শ্রমিক প্রশিক্ষণগনের তালিকায় হেড়ফেড়, বাৎসরিক আয় ব্যয়ের গড়মিল,
ইচ্ছেমতো অফিস পরিচালনাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শ্রম কল্যাণ সংগঠক এখলাছুর রহমান ও অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে সংযুক্ত
গোলাম মোস্তফা শ্রম কল্যাণ সংগঠক গোলাম মোস্তফাকে সিরাজগঞ্জে ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির মুল হোতা এখলাছুর রহমানকে শাস্তিস্বরুপ অন্যত্র বদলী এবং ডিসপেনন্সারী এ্যাটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেনকে নিয়মিত করনে বিভাগীয় তদন্তে ব্যবস্থা গ্রহনে জোর সুপারিশ করেছেন এ জেলার শ্রমদল ও শ্রমিক সংগঠকের নেতৃবৃন্দরা।
অনিয়মিত অফিসে ও নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার (২৫) মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে অফিসে উপস্থিত হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীবাদে কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর দেখে মেলেনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪মে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক শ্যামল বাংলা, জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদসহ অনলাইনে একাধিক স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অপরদিকে চিকিৎসক অন্যত্র সংযুক্ত থাকায় বিপাকে পড়েছেন ফার্মাসিস্ট রবিউল ইসলাম। চিকিৎসক ও ঔষধ না থাকায় ফার্মাসিস্ট রবিউলের দিনের পর দিন অফিসে বসে অলস সময় পার করতে হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রান্তিক শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর আগেও সিরাজগঞ্জ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে সরজমিনে সোমবার (১২ মে) দুপুর ও মঙ্গলবার (১৩ মে) দিনভর অফিস ঘুরে শ্রম কল্যাণ সংগঠক এখলাছুর রহমানকে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, যাদের শ্রম-ঘাম-রক্তে দেশের অর্থনীতির ভিত রচিত হয়, সেই পোশাক শ্রমিকরা যেন সবসময় ‘সুবিধাবঞ্চিত’ হন। কর্মস্থলে দীর্ঘসময় টানা কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেও পান না সুচিকিৎসা।
সরকারি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা ও সুযোগ-সুবিধার ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে শ্রমিক অধিকার এবং সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রটিকে সচল রাখার দাবি জানিয়েছেন এ জেলার বিশিষ্টজনেরা।
সিরাজগঞ্জ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস সূত্রে জানা যায়, এই কেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, শ্রম কল্যাণ সংগঠক, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা, ডিসপেনসারি এ্যাটেনডেন্ট, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতা-কর্মীর পদ রয়েছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল অফিসার ২০২০ সালে চলে যাওয়ায় পদটি শূন্য রয়েছে। যা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রটির চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।