নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবী এ রিটটি দায়ের করেছেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
রিটে ঘটনা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব ছাড়াও পরিবেশ সচিব, আইজিপি, ডিসি সিলেট, ইউএনও কোম্পানিগঞ্জসহ ১০ জনকে এতে বিবাদী করা হয়েছে।,
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা সোনাখ্যাত দেশের শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর অবাধে লুটপাট চলছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ পাথর লুটের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে এ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুদকের একটি টিমও সেখানে অভিযান চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একসময় রাতের আঁধারে মাঝেমধ্যে পাথর চুরি হলেও এখন দিনে-দুপুরে চুরি হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার সাদা পাথর। যার কারণে বর্তমানে বিলীন হওয়ার উপক্রম সাদা পাথর। প্রশাসনের সামনে দিয়ে বালু-পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও কোনো কর্ণপাত নেই তাদের। সাদা পাথর লুটের জন্য ওই এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনকেই দুষছেন।,
তারা আরও বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা আর মদদে এই লুটপাট চলছে। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই সাদা পাথর লুটপাট শুরু হয়। পরে স্থানীয় ও সেনাবাহিনীর কারণে তা অনেকটাই বন্ধ হয়। কিন্তু তবুও সুযোগ বুঝে চলে এই লুটপাট।
বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন ধলাই নদীতে অভিযান চালালেও লুটপাট বন্ধ হয়নি। এক সপ্তাহ লুটপাট হলে অভিযান হয় একদিন, আর ওইদিন বাদে বাকি ছয়দিনই চলে লুটপাট। যেদিকে পাথর কেনাবেচা হয় এবং গাড়ি বা বড় নৌকা করে পাথর যায়, সেদিকে অভিযান না হওয়ায় এই লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না বলেও দাবি করছেন এলাকাবাসী,
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.