
নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনের পূর্ব সাগর এলাকা থেকে জেলেসহ মাছ ধরার পাঁচটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাগরে মাছ ধরার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ৪০ জন জেলেসহ ট্রলারগুলো অপহৃত হয়।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরার সময় ৫টি ট্রলারসহ জেলেদের মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলে ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।’
একজন স্থানীয় জেলে জানান, সেন্টমার্টিনের পূর্বে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার জলসীমা থেকে একটি স্পিডবোট এসে জেলেদের ধাওয়া করে। পরে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে পাঁচটি ট্রলার ধরে নিয়ে যায়। এসব ট্রলারে প্রায় ৪০ জন জেলে ছিলেন বলে জানা যায়।
টেকনাফ খাইয়ুক খালী নৌ ঘাটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারের সময় জেলেসহ পাঁচটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে টেকনাফ ঘাটের তিনটি এবং শাহপরীর দ্বীপ ঘাটের দুটি ট্রলার রয়েছে। তবে এসব ট্রলারের মালিকদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি।’
এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয়টি ট্রলারসহ ৬৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। জেলেদের নিরাপদে ফেরাতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ট্রলার মালিক সমিতি। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিন সাগর থেকে ট্রলারসহ মাঝিমাল্লা ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে ট্রলার মালিক সমিতি ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩১৮ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বিজিবির সহায়তায় প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা হলেও বাকি জেলেরা এখনো তাদের হেফাজতে রয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকদিনেই আরও ৬৪ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।,











