
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বক্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার আনোয়ারপুর গ্রামের পুতুল নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রেপ্তারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকা কিছু ব্যক্তি তার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
সোমবার রাতে ইউটিউবে প্রচারিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের ফিফটিন মিনিটস অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পর্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ ও টরিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে পুতুল নামের ওই নারী অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শরীফুজ্জামান তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরে প্রতারণা করেন।
প্রতিবেদনটি প্রচারের পর মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ আনোয়ারপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুতুলকে গ্রেপ্তার করে।
দর্শনা থানার ওসি বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর কামারপাড়া এলাকা থেকে তিনটি স্বর্ণের বারসহ আসমা নামের এক নারীকে বিজিবি আটক করে। পরবর্তীতে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসমা উল্লেখ করেন, আনোয়ারপুর গ্রামের কিতাব আলীর মেয়ে পুতুল তাকে ওই স্বর্ণের বার সরবরাহ করেছিলেন। সেই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই পুতুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, পুতুলের নামে আগে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বক্তব্য দেওয়ার জেরেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার বলেন, পুতুলের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিকের প্রতিবেদনে বক্তব্য দেওয়ার কারণে তাকে আটক করা হয়েছে—এমন অভিযোগ সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের ওই অনুসন্ধানে বিএনপির কিছু নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়, যা প্রচারের পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।