
জুয়েল রানা: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দুইটি পরিবারে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষ হনিফ গ্যাংয়ের সদস্যরা। এতে ভুক্তভোগী দুইটি পরিবার তিনদিন দরে অবরুদ্ধ হয়ে পরেছে, ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা ধুবিল ইউনিয়নের মেহমানশাহী গ্রামে
বুধবার (২৩ জুলাই ) বিকেলে থানার মেহমানশাহী গ্রামের ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান তালুকদার, ও হাকিমের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার বাড়ির চলাচলের রাস্তার মূল গেটের সামনে ৮ ফুট উচ্চতার বাঁশের একটি বেড়া। এতে দুইটি পরিবার গত তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে ভুক্তভোগীরা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছে না।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান তালুকদারের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তার জমি বাড়ি জোর পূর্বক দখল করার জন্য গত ১০ মে অতর্কৃত হামলা চালিয়ে মোনোয়ারা খুতুনের মাথা ফাটায় এতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা আমলি আদালতে ৩,২৬ দ্বারা মামলা করেন, সেই মামলা তোলার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো আতাউর গংরা মামলা না তোলায় গত ১৬ মে আবার হামলা চালিয়ে মনিজা খাতুনের মাথা ফাটায় এতে ৩,২৬ দ্বারা আরো একটি মামলা দায়ের হয়। তার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আবু হানিফ,আতাউর, শরিফুল, রাজু, ও সবুজ গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুইটি মামলা না তোলায় বাঁশের বেড়া দিয়ে বাড়ির প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেন। এতে দুইটি পরিবার তিনদিন যাবৎ অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, আব্দুল মান্নান তালুকদারের সাথে দীর্ঘদিনের ঝামেলা চলে আসছে
এখানে কেউ কারো ছাড় দিচ্ছে না। হানিফ,আতাউর, শরিফুল, রাজু, সবুজদের লোকজন বেশি থাকায় মান্নান তালুকদার তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। আমাদের গ্রামের
মান্নানের বাড়িতে শিশু যত্ন কেন্দ্র স্কুল রয়েছে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়ায় ছোট বাচ্চারা যেতে পারছে না, আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে এটার সঠিক সমাধান চাই।
ভুক্তভোগী মান্নান তালুকদার বলেন, আমার পুত্র সন্তান নাই ৪ টা মেয়ে তার জন্য আমার ভাই ভাতিজারা সবাই মিলে আমার পরিবারকে মেরে জোর পূর্বক জমি বাড়ি দখল নিতে আমার বাড়ির প্রবেশদ্বার আটকে দিয়েছে যার ফলে আমি আমার পরিবার বর্তমানে অবরুদ্ধ আছি আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্তরা বলেন, আমাদের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়েছি, নিজেরা মাথা ফাটিয়ে আমাদের নামে ৩,২৬ দ্বারা দুইটি মিথ্যা মামলা করছে এই মামলা না তুললে আমরা বেড়া খুলে দিবো না।
এবিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে এখনো আমাকে কেউ জানায়নি যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।