
জুয়েল রানা: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাদক ও ভেজাল ঔষধ তৈরীর কারখানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মব তৈরী করে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দৈনিক আজকের জবানী পত্রিকার সলঙ্গা প্রতিনিধি শাহরিয়ার মোর্শেদ বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় এজহার দায়ের করেন।
(০৫ মে সোমবার) সলঙ্গা থানার পুরানবেড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এতে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সলঙ্গা প্রতিনিধি সাংবাদিক জাকির হোসাইন গুরুতর আহত হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাজায়, ঘটনার দিন সংবাদ সংগ্রহের জন্য দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সলঙ্গা প্রতিনিধি সাংবাদিক জাকির হোসাইন, দৈনিক যুগের কথা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শাহিন আলম, দৈনিক সিরাজগঞ্জ বার্তা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক নাফিউল ইসলাম আবির,সিরাজগঞ্জ কন্ঠের প্রতিনিধি পারভেজ সরকার, ভোরের ঢাক পত্রিকার সলঙ্গা প্রতিনিধি শংকর কুমার রায় ৬ জন সাংবাদিক সলঙ্গা থানার পুরানবেড়া গ্রামের
ববিউজ্জামান এর ছেলে মহিবুল ইসলাম ইসলাম সবুজ এর মাদক ও ভেজাল ঔষধ তৈরীর কারখানার সংবাদ সংগ্রহের জন্যে গেলে সে মব তৈরী করে সে সহ তার বোন বোনের জামাই সহ অন্তত ১২ মিলে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে, প্রায় ১ ঘন্টা ব্যপি সাংবাদিক জাকির হোসাইনকে হত্যার উদ্দেশ্য বেধরক মারপিট করে। এ সময় উপস্থিত অন্যান্ন সাংবাদিকরা মারপিটে বাধা দিলে তাদেরও মারপিট ও লাঞ্চিত করে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়।
এসময় কৌশলে সাংবাদিক মোরশেদুল ইসলাম ( শাহরিয়ার মোর্শেদ) ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান কে কল দিয়ে না পেয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিলে ২ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
এ সময় যায়যায়দিন পত্রিকার সলঙ্গা প্রতিনিধি সাংবাদিক জাকির হোসাইন গুরুত্বর আহত হলে তাকে সিরাজগঞ্জে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদি সাংবাদিক মোরশেদ জানান, মামলা দায়ের এবং হামলার ভিডিও ফুটেজ সলঙ্গা থানার ওসিকে দিলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করেনি সলঙ্গা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে মুঠোফোন চিকিৎসাধীন সাংবাদিক জাকির হোসেন জানান, গত সপ্তাহে সলঙ্গায় সুদি মহাজন’মোর্শেদ ও তার মামা আলম গংদের বিরুদ্ধে আমার করা একটি রিপোর্ট দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা সহ স্থানীয় দৈনিক কলম সৈনিক, যুগের কথা, সিরাজগঞ্জ বার্তা সহ অনেক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করায় বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি ধামকি পেয়েছি, তার পর ঘটনার দিন ওইখানে আমাদের হামলা হয়।
আমার সন্দেহ এই ঘটনার সাথে সলঙ্গা বাজারের সুদি মহাজনরা মোর্শেদ তার মামা আলম, সহ প্রতারক আব্দুল আলীম জরিত থাকতে পারে।
এ ঘটনায় সলঙ্গা থানা পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। আশা করছি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক করবে পুলিশ।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোখলেছুর রহমান জানান,সাংবাদিকদের হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।