
জুয়েল রানা: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মসজিদের ১৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে।
থানার ধুবিল ইউনিয়নের মালতিনগর উত্তরপাড়া হাজী ওমরদী জামে মসজিদের ওয়াকফকৃত ১৭ বিঘা সম্পত্তির দির্ঘ ৮ বছরের আয়-ব্যয়ের ১৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে মোতাওয়াল্লী শহিদুল ইসলাম, মসজিদের সভাপতি আদম আলী, ক্যাসিয়ার টেক্কা,কালাম,দুলাল।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, মালতিনগর উত্তরপাড়া হাজী ওমরদী জামে মসজিদের নামীয় মালতিনগর গ্রামের আর,এস ৬৬ নং খতিয়ানে ৪৮৭ শতক ভূমি ফসলী ও বাঁশঝাড় ও আর,এস ৬৮ নং খতিয়ানে ৫৭ শতক ভূমি সহ ৪ টি পুকুর যাহা অনুমানিক ৬ বিঘা উক্ত সম্পত্তি মসজিদের উন্নয়ন কল্পে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর রেজুলিশন দ্বারা ২০১৬ সাল হইতে লিজ প্রদান করিয়া আসছিলেন এবং ভালো জমি ও পুকুর নিজ দায়িত্বে চাষাবাদ করে উৎপাদিত সষ্যাদি মসজিদে না দিয়ে নিজেরাই ভোগ করতেন এবং মসজিদের কোন উন্নয়ন
মূলক কাজ করতেন না। মসজিদের পূর্বের কমিটি যে সকল কাজ করেছে তাহা সবই ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে তার কারনে মসজিদে এলাকার মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করিতে না পাড়ায় মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসুল্লিগন মসজিদটি পুনোরায় নতুন ভাবে নির্মান করা সহ ল্যাট্রিন,টিউবওয়েল, মাদ্রাসা ঘর নির্মানের জন্য বিগত ৮ বছরের আয়-ব্যায়ের হিসাব বর্তমান কমিটির নিকত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। এর আগেও আওয়ামী লীগের সময়ে হিসাব চাইলে মারধর করা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । হিসাব না পেয়ে মুসুল্লিদের পক্ষে মসজিদের সদস্য আরিফুল ইসলাম পাবনা জেলা ওয়াকফ পরিদর্শকের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তারই পেক্ষিতে বুধবার সকালে পাবনা জেলা ওয়াকফ পরিদর্শক কার্যালয়ের হিসাব নিরীক্ষক আলহাম আব্দুল্লাহ এসে তদন্ত করেন এতে ৬ লক্ষ টাকার হিসাব দিতে পারলেও বাকী ১৮ লক্ষ টাকার হিসাব দিতে পারে নাই।
এবিষয়ে মসজিদের মোতাওয়াল্লী শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সব টাকার হিসাব দিয়েছি তারা আমাকে ফাসাতে চাইছে কারন নতুন করে তারা কমিটি হবে এই আশায়।
স্থানীয় মুসুল্লিদের একটাই দাবি সঠিক তদন্ত করে মালতিনগর উত্তরপাড়া হাজী ওমরদী জামে মসজিদের ১৮ লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে দুর্নিতিবাজ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করার।