জুয়েল রানা: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মসজিদের নামের ওয়াকফকৃত ৯ বিঘা জায়গা তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে ভোগদখল করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম মন্টুর (৬০)বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই জমি ভোগ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটি।
সে হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চরিয়া শিকার উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
চরিয়া শিকার দক্ষিনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি।
নদীর ধারে (চরিয়া শিকার উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ) এর নামে গত ২৭.১১.১৯৬০ সনে মন্টু মাস্টারের পিতার ফুফু লতিফুন্নেসা তার নীজ নামীয় জমি ৩৯০ ও ৩৯২ আর এস খতিয়ানের ১৬৯৬, ১৬৬৫, ৪৯৬৮,১১৬০,১৬৫৯,৪৯০৭,৫০৩১ দাগের মোট ৯ বিঘা জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন।
লতিফু্ন্নেসার দেয়া ওয়াকফ দলিলে নদীর ধারে মসজিদে (চরিয়া শিকার উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের)
দেয়া ৯ বিঘা জমির দলিলে তার ভাতস পুত্র আব্দুল জলিলকে মুতাওয়াল্লি হিসেবে ইতি টানেন। উক্ত ৯ বিঘা ৩০৩ একর জমি থেকে উৎপাদিত ফসল নদীর ধারের মসজিজের উন্নয়ন কাজে ব্যায়ের কথা উল্লেখ করেন।
লতিফুন্নেসা নেছার ভাতিজা আব্দুল জলিল মারা যাওয়ায় মন্টু মাস্টার দলিল ও ওয়াকফের কাগজপত্রাদি গোপন করে ৬৫ বছর যাবৎ উক্ত জমি তার নিজের দখলে রেখে ফসলাদী ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল।
বিষয়টি জানাজানি হলে চরিয়া এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়।
মসজিদ কমিটি বার বার কাগজ দেখতে চাইলে মন্টু জানান, আমাকে মোতোয়াল্লি নিয়োগ দিয়েছে, এবং মসজিদে মাঝে মধ্যে ধুপশলা আগর বাতি কিনে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা আছে যা আমি যে কোন মসজিদে দিতে পারি।
পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ডলার
সহ গ্রামের লোকজন মিলে ঢাকার ওয়াকফ স্টেট অফিস থেকে কাগজ পত্রাদি তুলে আনলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। এ নিয়ে একাধিকবার বার মন্টুর সাথে বসে জমাজমি ও তার ফসলাদীর হিসেব চাইলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান বলে জানায় মসজিদ কমিটি।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে মন্টু মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মসজিদ কমিটিই একটি ভূয়া দলিল করে আমাদের সম্পত্তি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ ইসলাম ডলার বলেন, তথ্য গোপন করে ৬৫ বছর যাবৎ মন্টু মাস্টার ও তার পরিবার মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত জমি দখলে রেখেছে। আপনাদের মাধ্যমে জমি ও তার ফসলাদীর হিসেব ও অর্থ আমারা ফেরত চাই। এ বিষয়ে যতদূর যাওয়া দরকার আমরা যাব। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তারা।