
জুয়েল রানা: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চক চৌবিলা এলাকায় অবৈধভাবে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ১৫০ শতাধিক গাছ কেটে নিলেন, সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি, ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ফেরদৌস জামান মুকুল ও তার চাচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হোসেন আলী হাজি।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সলঙ্গার চৌবিলার আঞ্চলিক সড়কের চক চৌবিলা কমনিউটি ক্লিনিকের সামনে থেকে প্রায় অধাকিলোমিটার সড়কের প্রায় ১৫০ টি ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে নেন চাচা ভাতিজা।
যার অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ্যাধিক টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী অনেকেই জানান, শুক্রবার ও শনিবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় , একসময়ের আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হোসেন আলী ও তার ভাতিজা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জামান মুকুল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার গাছ গুলো কেটে বিক্রি করেন।
চাচার প্রভাব না থাকলেও ভাতিজা প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে গাছ কাটেন । তারা প্রভাবশালী ও প্রতাপশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ খোলেন না অনেকেই।
এভাবে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ প্রসাশনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা হোসেন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, আমি হসপিটালে আছি, আপনারা আমার ভাতিজার সাথে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ফেরদৌস জামান মুকুল বলেন, এক সময় দল করতে গিয়ে কয়েকটা মামলা খেয়েছি। এখন আমাদের সময় এসেছে চার পাশে সব জমিজমা আমাদেরই তাই আমরা গাছ কেটে নিয়েছি।
আমি বিএনপি করি, আমার দলের সিনিয়র নেতারাও বিষয়টি জানে। তাদের সাথে একটু কথা বলেন।
সলঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম লিপু বলেন, আমি গিয়েছিলাম গাছগুলো অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের সার্ভেয়ার এসে মাপ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আবু সালেহ মোহাম্মাদ হাসনাত বলেন, আমি বিষয়টি আবগত হয়েছি, নায়েব সাহেবকে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।