
সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: পরকিয়া প্রেমের টানে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় হাতেনাতে ২জনকে আটক করে বেধরক মারপিট ও জুতার মালা পরিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচারের নির্দেশ দিলেন গ্রাম্য মাতব্বররা। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ দুইজনকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখেন। পুরুষকে বেধরক মারপিট করায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে এবিষয়ে কোন পক্ষই মামলা না করায় পুলিশ কাউকে আদালতে সোর্পদ করেনি। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার তারটিয়া গ্রামের তাহাজ এর বাড়িতে।
জানা যায়, ২৬ আগষ্ট শনিবার দিবাগত রাত্রী ৯ টার দিকে সলঙ্গার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের কসিমুদ্দিন আকন্দ এর পুত্র গ্রাম্য ডাক্তার বেল্লাল হোসেন (৫৫) পরকিয়ার কারনে তাহাজ আলী এর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন (৩২) ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে এলাকাবাসী।
গ্রাম্য মাতব্বর আহসান হাবিবে এর নেতৃত্বে গ্রাম্য মাতব্বর নুরুল হালিম, সাঈদ, সুবল, সেলিম, আলম, সোলাইমান, এরশাদ আলী, সুজন খাইরুল, রবিউল সামাজিক বিচারের রায়ে বেল্লাল হোসেনকে জুতার বাড়ি ও জুতার মালা পরিয়ে দেন। জুতার মালা পরিয়ে ছবি তুলে উঠতি বয়সী ছেলেদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারের নির্দেশ দেন গ্রাম্য মাতব্বর আহসান হাবীব।
জুতার মালা পরিয়ে দেওয়ার পর এলাকার সচেতন মহল ৯৯৯-এ ফোন দেয় তার পরে ঘটনাস্থল থেকে বেল্লাল হোসেন ও ফাহিমা খাতুনকে আটক করে সলঙ্গা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এনামুল হক)
বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেল্লাল ও ফাহিমাকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বেল্লালকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে কোন পক্ষই মামলা না করায় আদালতে সোর্পদ করা হয়নি। যারা বেল্লালকে জুতা পরিয়ে শাস্তি ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।