জুয়েল রানা: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের ফুলজোর নদীর বকুল তলা এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল।
ও একই এলাকার সাহেবগঞ্জ দাদপুর এলাকার দাদপুর গার্লস স্কুলের পিছন থেকে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী।
জানাজায়, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নিজেকে আওমীলীগ কর্মী পরিচয়ে ফুলজোর নদীতে প্রভাব খাটিয়ে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এক সময়ের সিডি আর গান ডাউনলোড ব্যবসায়ী লিখন।
শুন্য থেকে কয়েক বছরেই কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। চলাফেরা এখন নিজস্ব প্রাইভেটকারে।
সরকার পতনের পর আবার স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আতাত করে আবার ও অবৈধ বালু উত্তোলনের মাফিয়া হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি । গড়ে তুলেছেন ফুলজোর নদীর বালু সিন্ডিকেটের একচ্ছত্র আধিপত্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলজোর নদীর ভূইয়াগাতি নামক স্থানে ফাতেমা ড্রেজার বসিয়ে ও নলকা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকায় দাদপুর জামাইরোডের বিপরীতে গার্লস স্কুলের পাশ থেকে নিষিদ্ধ বাঙ্গলা মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন তিনি।
বালু উত্তোলনের আশে পাশের লোকজন জানান, সাহেবগঞ্জ এলাকার লিখনের নামেই তোলা হয় বালু।
অবৈধভাবে মাটি কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে বকুল তলা এলাকার লেবু নামের একজন জানান, আমি মাটি কাটায় সম্পৃক্ত নয় তবে কে বা কাহারা আমার নামে কাটছে আমি জানি না।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে লিখন আহমেদ জানান, আমি সরাসরি সম্পৃক্ত নয় আমার নাম ব্যবহার করা হয় এখন উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বালু উত্তোলন শুরু হলে আমি আপনাদের সাথে যোগাযোগ করব।
এ বিষয়ে জানতে রায়গঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা খাদিজা খাতুনের ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হুুমায়ন কবির জানান, আমি সবে মাত্রই বালু ও মাটি কাটার বিষয়টি অবগত হলাম। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।