নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। দুপুরে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের প্রধান ফটকের দিকে গেলে কিছু সময়ের জন্য তা বন্ধ রাখা হয়। বিকেল পর্যন্ত চলে অবস্থান কর্মসূচি।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, এই অধ্যাদেশ সরকারের চুক্তিভিত্তিক কিছু সচিবের ষড়যন্ত্রে প্রণীত। তারা অধ্যাদেশটিকে ‘কালাকানুন’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, “এই আইন সরকারকে বিব্রত করতেই চুক্তিভিত্তিক পাঁচ-ছয়জন সচিব এ ষড়যন্ত্র করেছেন। জনপ্রশাসন সচিবের বিরুদ্ধে মামলা থাকা অবস্থায় তিনি কীভাবে আইন পাস করলেন? তাকে গ্রেফতার করে সচিবালয় থেকে সরিয়ে না নিলে, আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে বাধ্য হবো।”
আন্দোলনের অন্য নেতা মো. বাদীউল কবীর বলেন, “আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আবারও সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে বাদামতলায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
আন্দোলনের ফলে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আন্দোলন চলাকালে সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
এদিকে আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’। সংগঠনটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের অপসারণ দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধনের খসড়া অনুমোদনের পর গতকাল তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শুরু হয় প্রতিবাদ।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.