
নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ: ঈদ যাত্রাকে আনন্দমুখর, যানজট নিরসন ও সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার শহর ও মহাসড়কে ঈদ পূর্ববর্তী এবং ঈদ পরবর্তী সড়ক দূর্ঘটনা রোধে এ বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিআরটিএ, জেলা প্রশাসন, ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতি বছরে ঈদ আসলে সড়ক দুর্ঘটনায় আনন্দ বিষাদে পরিণিত হয়। চলাচলে অসচেতনতা, বেপরোয়া গতি, কিশোরদের মোটরসাইকেল চালনা, মহাসড়কে গ্রামীণ যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সকলে সচেতন করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় গাড়ির ফিটনেস চেক করা, গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাগজপত্র চেক করাসহ দুর পাল্লার বাস কাউন্টার গুলোতে যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন পরিবহনের টিকেট কাউন্টারের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিআরটিএ এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, সদর থানা পুলিশ ও সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিআরটিএ’র সিরাজগঞ্জ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক হাফিজুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে আমরা জনসাধারণের সড়কে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমান তন্বী বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের দিকনির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসব বিষয় সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখি মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সড়কে নিরাপত্তা এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় জেলার পুলশি সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। নিয়মিত টইলের পাশাপাশি এখন আরও বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন ও পুলিশের টইল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।