
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, সংবিধানে আনুপাতিক বা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিধান নেই। তাই সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে বিতর্ক চালালেও আইন পরিবর্তন ছাড়া এ প্রক্রিয়া চালু করা সম্ভব নয়।
শনিবার সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি জানান, প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। রমজানের আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী সামগ্রী ক্রয় ও সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীমানা শুনানি চলবে।
সেনাবাহিনী নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপারদের আগের মতো দায়িত্বে রাখার পরিকল্পনা নেই।
ভোটকেন্দ্র দখল বা অনিয়মের বিষয়ে সিইসি সতর্ক করে বলেন, “যারা ব্যালট বাক্স দখলের স্বপ্ন দেখছে, তাদের স্বপ্ন সফল হবে না। অস্ত্রের জোরে ভোট জেতার চিন্তা করলে তা হবে দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখল হলে পুরো ভোট বাতিল করা হবে।”
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা প্রায় ৫৭০০ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে যারা অতীতে অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তাদের দায়িত্বে রাখা হবে না।
সরকারি হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “এখন পর্যন্ত সরকার থেকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। যদি চাপ আসে, আমি পদত্যাগ করব।”
আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দলটির বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচারাধীন মামলা রয়েছে। রায়ের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ।”
পরে তিনি রাজশাহী অঞ্চলের কর্মকর্তাদের নির্বাচন আয়োজন সংক্রান্ত নানা দিকনির্দেশনা দেন।