সংগঠন গোছানোর দায়িত্ব পাচ্ছেন মন্ত্রী না হওয়া নেতারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যে সমস্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি, তাদেরকে সংগঠন গোছানোর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দলের অন্তর্কলহ দূর করা, দলের মধ্যে বিভক্তি কোন্দল ঠেকানো এবং দলকে শৃঙ্খলায় আনার জন্য ১০ জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন’।

দলের যে আটজন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন, সেই আটজন সাংগঠনিক সম্পাদককে আটটি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাউকেই মন্ত্রী করা হয়নি। এমনকি সাত বারের এমপি হওয়া সত্ত্বেও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন এই জন্য আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা মির্জা আজমকে মন্ত্রিসভা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আওয়ামী লীগ এখন যে সংগঠন পুনর্গঠন এবং দলের বিভক্তি বিভাজন দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, সেই উদ্যোগে এই আটজন সাংগঠনিক সম্পাদককে মূল দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা ঈদের পর থেকে বিভিন্ন জেলা সফর করবেন, কোন্দলরত বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সংকট নিরসনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করবেন। সাংগঠনিক সম্পাদকরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং এই যোগাযোগের ভিত্তিতেই তারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবেন।

সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে তদারকি করার জন্য বা সাংগঠনিক সম্পাদকদের সার্বক্ষণিকভাবে পরামর্শ, উপদেশ এবং নির্দেশনা দেওয়ার জন্য দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এবং বাহাউদ্দিন নাছিম। এই দুজনই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত নন। তারা এখন সার্বক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক বিষয়গুলোকে দেখবে। এ ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এবং ড. আব্দুর রাজ্জাক পুরো সংগঠনের বিষয়ে তদারকি করবেন বলেও জানা যাচ্ছে’।

আওয়ামী লীগ মনে করছে সামনের দিনগুলোতে সাংগঠনিক বিরোধ আরও বাড়বে। বিশেষ করে কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে যে, দলের ভিতর বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে। সামনের দিনগুলোতে যখন বিরোধী দল আন্দোলন করবে তখন এই কোন্দল যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে তা বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করবে।’

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, সামনে আন্দোলন শুধু নয়, উপজেলা নির্বাচনেও যদি এই ধরনের কোন্দল অব্যাহত থাকে তাহলে জামায়াত এবং বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে বড় ধরনের সুবিধা নেবে এবং চমক দেখাবে। এজন্য আওয়ামী লীগকে কোন্দল কমাতেই হবে। কিন্তু ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগের ভিতর বিভক্তি, বিভাজন এবং সহিংসতার রূপ নিয়েছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি সাংগঠনিক বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেজন্যই তিনি কোন সাংগঠনিক সম্পাদককেই এবার মন্ত্রিসভায় অর্ন্তভুক্ত করেননি। মন্ত্রিসভায় অর্ন্তভুক্ত না করে দলের জন্য তাদেরকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় মন্ত্রী ছাড়া এ সমস্ত নেতারা সংগঠন গোছাতে কতটুকু সফল হন।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

‘আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতারা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের অনেক জনপ্রিয় নেতা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। তাদেরকে শুধুমাত্র রুটিন রাজনৈতিক কর্মসূচি গুলোতে দেখা যাচ্ছে, সাংগঠনিক বিষয়ে আগের মতো তৎপর

কাজিপুরে নবাগত ইউএনও’র সাথে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মতবিনিময়

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল হক এর সাথে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা

বেলকুচিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পৌর মেয়রের গণসংযোগ

ভি কে জয়, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগ করেছেন পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা। তিনি আওয়ামী

গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুখবর দিলেন রেলমন্ত্রী’

নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক শ্রমিকদের জন্য আগমী দুদিন আলাদা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। রোববার (৭ এপ্রিল’) দুপুরে তিনদিনের সফর শেষে

রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দাইকোনা ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুৃমা উপজেলার দাথিয়া দিগর মধ্যে

অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের