
নজরুল ইসলাম: দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস এবং উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (স্থাবর সম্পত্তি ১%) এর আওতায় সদর উপজেলা শিয়ালকোল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারসহ আরসিসি ও এইচবিবি করণের ফলে ওই অঞ্চলের জনতার মুখে হাসি ফুটেছে। তিনটি রাস্তা পাকা করণের ফলে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য সহজেই বাজারজাত করে সুলভ মূল্য পাচ্ছেন কৃষকরা। এছাড়া সাধারণ যান চলাচলেও নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে দিয়ারবৈদ্যনাথ ও চকশিয়ালকোল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে চক শিয়ালকোল আবু তালেবের বাড়ি হতে মোজাফফরের বাড়ির অভিমুখে রাস্তা সংস্ককরসহ সিসিকরণ ৭২.৭ মিটার, চব্বিশ লাখ টাকা ব্যয়ে চকশিয়ালকোল বদিউজ্জামের বাড়ি হতে ক্ষুদ্রশিয়ালকোল জামে মসজিদ পর্যন্ত সংস্কারসহ এইচবিবি করণ ৪৪০ মিটার, দিয়ারবৈদ্যনাথ মাহমুদুলের বাড়ি হতে মতিন মুন্সির বাড়ির অভিমুখে রাস্তা সিসিকরণ দশ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার পাকা করণের কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পর্ণ হয়েছে।
স্থানীয় জনগণ ও বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, এই রাস্তা তিনটি পাকা হওয়ায় আমাদের ভাগ্য খুলেছে। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা রাস্তার জন্যে খুব কষ্টে ছিলাম। এখন সেই কষ্ট দূর হয়ে আমাদের মুখে হাসি ফুটেছে। রাস্তা তিনটির কাজের সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন, শিয়ালকোল ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওমর ফারুক, ইউপি প্রশাসক কুষিবিদ আনোয়ার সাদাত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেনসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ।
শিয়ালকোল ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) ওমর ফারুক বলেন, রাস্তার কাজের গুণগত মান বজায় রেখে সুন্দর করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্ঠা করেছি। রাস্তা তিনটি পাকা করণ হওয়ার ফলে ওই অঞ্চলের জনগণ খুব খুশি।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন কাজ কোনটি শেষ হয়েছে আবার কোনটি চলছে। তিনি বলেন, ওই তিনটি রাস্তার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি কাজের মান যথেষ্ট ভালো হয়েছে। আমরা জনগণের কল্যানে ও তাদের মুখেহাসি ফুটাতে বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। আমাদের সেই কাজে জনগণ তথা সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে উৎসাহ দেবে।