শিক্ষায় সংস্কার স্থিতিশীলতা না এলেও রাষ্ট্রীয় ব্যয় আগের মতোই

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। কিন্তু অভ্যুত্থানের প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও স্থিতিশীলতাই ফেরেনি।

দেশের শিক্ষা খাতের ব্যয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ আছে। বিশেষত বিগত সরকারের সময়ে পরিচালন ব্যয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনকে চাঁদা দেয়া, আপ্যায়নসহ বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা, প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেশি মূল্যে কাজ নেয়া, কেনাকাটায় বাজারমূল্যের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মূল্য দেখানোর মতো বিষয়গুলো ছিল অনেকটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এ ধরনের অনিয়মের জেরেই বৃদ্ধি পেত শিক্ষা খাতের মোট ব্যয়।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। কিন্তু অভ্যুত্থানের প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও স্থিতিশীলতাই ফেরেনি। শিক্ষা খাতের সংস্কারে নেয়া হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগও। অথচ এ খাতের ব্যয় প্রায় অপরিবর্তিতই আছে।

অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ১০ মাসে শিক্ষা খাতে মোট ব্যয় ছিল ৩৮ হাজার ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৩১ হাজার ৪৩ কোটি এবং ৬ হাজার ৯৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা উন্নয়ন ব্যয়। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৫০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যেখানে পরিচালন ব্যয় ছিল ৩০ হাজার ৬৭৬ কোটি এবং উন্নয়ন ব্যয় ৬ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।

শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো অব্যাহত রয়েছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মতো ঘটনা। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংগঠনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের একটি অংশ এসব অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকৃত ব্যয়ের বাইরে আগের মতোই রয়ে গেছে অতিরিক্ত ব্যয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের জন্য গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ৪৫টি কম্পিউটার কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে মোট সাতটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে সর্বনিম্ন মূল্যে এসব কম্পিউটার দেয়ার দরপত্র দাখিলকারীকে বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টেন্ডার দেয় তিন নম্বরে থাকা কোম্পানিকে। এ ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন করে ওই প্রতিষ্ঠানটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির আপিল বিভাগের রিভিউ প্যানেল জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টি টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করেনি। এর ফলে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে গত ১৪ মে বাধার মুখে পড়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। একপর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে তা সম্পন্ন করা হয়। এর আগে গত ২১ অক্টোবর পুরনো নয়টি বাস ও তিনটি মাইক্রোবাস বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। ওই দরপত্র কিনতে বা জমা দিতে এসে বাধার মুখোমুখি হয় একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, রাবির বাস ও মাইক্রোবাস বিক্রির জন্য দেয়া দরপত্র কেনার সর্বশেষ তারিখ ছিল ১৭ নভেম্বর ও জমার তারিখ ছিল ১৮ নভেম্বর। এর মধ্যে ঠিকাদাররা ৪৩টি দরপত্র দাখিল করেন। তিনটি প্রতিষ্ঠানই জমা দিয়েছিল ৩৬টি দরপত্র। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধা দেয়ার অভিযোগের জেরে ওই দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। পরে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে বাসগুলো বিক্রি করা হয়।

বিষয়টি স্বীকার করে রাবির পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, ‘শুরুতে রাজনৈতিক পরিচয়ে টেন্ডার কার্যক্রমে বাধা দেয়ায় তা স্থগিত করতে হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আমরা পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি, তখন আর কোনো সমস্যা হয়নি এবং কেউ দলীয় পরিচয়ে বাধা দেয়নি। এরই মধ্যে আমরা পুরনো বাসগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।’

বিগত সরকারের সময় ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতারা বিভিন্ন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে অর্থ বা চাঁদা নিতেন। এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত আছে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও। গত বছর আগস্টে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে মিষ্টি কেনা উপলক্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ৬০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ। তারা নিজেদের জুলাই আন্দোলনকারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তারা টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ নানা কার্যক্রমকে ঘিরে রাজনীতিতে জড়িত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে আর্থিক অনুদান চেয়ে থাকে। এ চর্চা আগেও ছিল, এখনো আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ঠিক রাখতে এ শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে হয়। আর এ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট থেকে ব্যয় করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।’

নিয়োগ থেকে শুরু করে টেন্ডারসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে এখনো রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে জানান এ উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে খুব একটা বদলেছে তেমনটা নয়। ভবিষ্যতেও এ চাপ কমবে বলে মনে হয় না।’

শিক্ষা খাতের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর ব্যয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেশকিছু কার্যক্রমে স্থবিরতার জেরে এ দুই বিভাগের উন্নয়ন ব্যয় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় কমলেও উন্নয়ন ব্যয় বেড়েছে।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শিক্ষা খাতে প্রকৃত উন্নয়নে যথাযথভাবে ব্যয় নিশ্চিত করা জরুরি। এটি খুবই হতাশাজনক যে ঘুস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মতো ঘটনা এখনো ঘটছে। এমনকি আমরা এমন অভিযোগও পাচ্ছি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘুসের পরিমাণ আরো বেড়েছে। এসব ক্ষেত্রে সরকারকে আমরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখছি না। বারবার সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, অথচ এ জায়গাগুলোয় আগে সংস্কার প্রয়োজন। শিক্ষা খাতে আমরা যদি পরিবর্তন না আনতে পারি; ঘুস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ অনিয়ম বন্ধ করতে না পারি, তবে কোনো সংস্কার কার্যক্রমই সফল হবে না। তাই সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে তারা যেন এ বিষয়গুলোয় কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান প্রকল্প কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অংশই বিগত আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত) ও তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মালিকানাধীন। বর্তমানে তারা পলাতক থাকলেও প্রতিনিধিদের দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে এর আগে যে প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে বিভিন্ন বিল তৈরি করা হতো এখনো একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকা আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারাও এখনো সক্রিয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পেতেন বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতারা। এক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনটির পদ থাকা নেতারা চাঁদা-টেন্ডারবাজিতেও যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়েও ঢাবির বিভিন্ন প্রকল্পের দরপত্র পেতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ আমরাও পাচ্ছি। এসব নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প যাতে চাহিদার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়। এর আগে দেখা যেত প্রকল্প টাকার অংকের ওপর নির্ভর করে তৈরি হতো। অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে টাকার অংক বড় করার চেষ্টা হতো এবং এ অর্থকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী মহল সৃষ্টি হতো। এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে তারা চাহিদা নিরূপণ করে সে অনুযায়ী প্রকল্পগুলো তৈরি করে।’

প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত, দুর্নীতির শেকড় এত গভীরে বিস্তৃত যে, এখন তা নিয়মে পরিণত হয়েছে। সিন্ডিকেট করে চলে এসব কাজ। নিয়মিতই ঘটছে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগে অনিয়ম, রাজনৈতিক পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং হয়রানির মতো ঘটনা।

সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, ‘দুর্নীতি-অনিয়মের কিছু ঘটনা তো আছেই। এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই কাম্য নয়। আমরা চেষ্টা করছি এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করার।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

চাটমোহরে গৃহবধূর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়লেন পুলিশের এসআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক গৃহবধূর ঘরে রাত্রীযাপনকালে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছেন এক এসআই। পরে তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পাবনার চাটমোহর

সাবেক ৬৫ মন্ত্রী-এমপির অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক ২৫ জন মন্ত্রী ও ৪০ জন সংসদ সদস্যের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার

এমভি আবদুল্লাহ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল সোমালিয়া’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জিম্মি হওয়া ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করতে চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলামের ইন্তেকাল

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাঁশখালী উপজেলার মজলিসে শুরার সদস্য, শেখেরখীল ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর

স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করে নিজেই থানায় গেলেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পটুয়াখালীতে মো. রাকিব ইসলাম (২০) নামের এক স্বামীকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী জিনিয়া ইসলাম। স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরে থানায়

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বা ৫৯ হাজার কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার