
সেলিম রেজা স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে জামিন পেলেন দেশের বৃহত্তম মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আমীন।
আজ বুধবার (৬ই মার্চ ২০২৪) এনেক্স বিল্ডিং এর ২৭ নাম্বার কোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির লিমিটেড এর সাবেক সভাপতি (মোহাম্মদ রফিকুল আমীন) সারে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে কারাগারে রয়েছেন। কারারুদ্ধ থাকায় চরম হতাশায় ভুগছে কোম্পানির ৪৫ লাখ বিনিয়োগকারী এবং ক্রেতা-পরিবেশক ও গ্রাহকের পরিবার-পরিজন।
আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মহবুব ও মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম টুটুল। অন্যদিকে দুর্নীতি দমণ কমিশন দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনকে দেওয়া ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সাজা খাটা শেষ হওয়ায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন উচ্চ আদালত।’
আইনজীবীরা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলায় ২০২২ সালের ১২ই মে রফিকুল আমিনসহ ৪৬ জনকে অর্থদণ্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় বিচারিক আদালত। মামলায় প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২২ সালেই আপিল করেন মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। তিনি এরই মধ্যে ১২ বছর সাজা ও জরিমানা অনাদায়ের আরো তিন বছরের সাজা খাটা শেষ করেছেন। এ কারণে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
গত ২০২২ সালের ১২ মে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুনকে চার বছরের কারাদণ্ড ও সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এরপর ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর মধ্যে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ট্রি-প্ল্যানটেশন মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মোট আসামি ৬৫ জন হলেও রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন।’
উল্লেখ্য, মামলা হওয়ার পর ২০১২ সালে রফিকুল আমিন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়। তারপর কারাগারে আছেন রফিকুল আমীন।’