আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লোহিত সাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ইরান-সমর্থিত এ গোষ্ঠীর দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পৃক্ততার কারণে তারা ‘ম্যাজিক সিস’ নামের গ্রিসের মালিকানাধীন এবং লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটিকে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও মানববিহীন নৌযানে আঘাত করেছে।
সোমবার (৮ জুলাই) হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক ভিডিও বার্তায় জানান, “জাহাজটিকে দুটি মানববিহীন নৌযান, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি ড্রোন দিয়ে টার্গেট করা হয়। এতে সরাসরি আঘাত লেগেছে এবং এটি ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ইসরায়েলের বন্দর ব্যবহার করেছে, তাই তাদের জাহাজগুলো ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে বিবেচিত।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুতিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে টার্গেট করে আসছে। এর ফলে বহু আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানি ব্যয়বহুল বিকল্প রুট হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশ ঘুরে চলাচল শুরু করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হুতির হামলার পাল্টা জবাবে ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দর এবং আশপাশের এলাকায় তাদের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হুতিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি দখলকৃত কার্গো জাহাজেও তারা হামলা চালিয়েছে।
ব্রিটিশ নৌবাহিনী পরিচালিত ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (UKMTO) জানায়, ‘ম্যাজিক সিস’ জাহাজে হামলার সময় ছোট নৌকায় থাকা বন্দুকধারীরা স্বল্পপাল্লার অস্ত্র ও রকেটচালিত গ্রেনেড ছুড়েছিল। পরে পাশের আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ জাহাজটির ক্রুদের উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সাময়িক সমঝোতার পর কয়েক সপ্তাহ হুতিদের পক্ষ থেকে হামলা বন্ধ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওই চুক্তির পরেও হুতিরা তাদের কৌশলগত অবস্থানে অনড় রয়েছে। গোষ্ঠীটি পূর্বঘোষিত অবস্থানেই বলেছে, “ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো জাহাজই আমাদের বৈধ লক্ষ্য।”
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.