
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ রপ্তানি মোকামে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতকে ইলিশ পাঠানোর শুরুর পরদিন থেকেই রপ্তানিকারকরা ইলিশ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, দেশে উচ্চ দামে কিনে সরকারি নির্ধারিত কম দামে রপ্তানি করলে বড় ধরনের লোকসান হবে। এছাড়া কলকাতার বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও নতুন ইলিশ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
সরকার দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করেছে রপ্তানি দর কেজিপ্রতি ১২.৫ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৫২৫ টাকা। অনুমোদন পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। তবে মোকামে রপ্তানিযোগ্য আকারের ইলিশের পাইকারি দাম কেজিতে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, প্যাকেটিং ও পরিবহন খরচ যুক্ত হলে আরও ১০০–১৩০ টাকা বৃদ্ধি পায়। এতে রপ্তানি করলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লোকসান হতে বাধ্য।
রপ্তানি স্থবির থাকায় শুক্রবার পাইকারি মোকামে প্রতি মণে ৩–৫ হাজার টাকা দাম কমেছে। বরিশালের পোর্ট রোড, বরগুনার পাথরঘাটা ও পাবনার মোকামে একই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পাবনার সেভেন স্টার ফিশিং প্রসেসিং করপোরেশনের প্রতিনিধি জানান, দুই দিন বেনাপোলে অপেক্ষার পর ইলিশ বিক্রি করতে হয়েছে দেশীয় বাজারে।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, এ বছর ইলিশ আহরণ কম হওয়ায় মৌসুমের শুরু থেকেই দাম অস্বাভাবিক। মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ২২ দিনের আহরণ নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে, যা মৌসুমের শেষের সঙ্গে মিলিয়ে চলে।