
অনলাইন ডেস্ক: লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতজনই সিরীয় নাগরিক। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, বেকা উপত্যকার ওয়াদি ফারা এলাকায় একাধিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। এর একটি হামলা বাস্তুচ্যুত সিরীয়দের একটি ক্যাম্পে আঘাত হানে, যাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১২ জন এবং আহত হন আরও আটজন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বেকা অঞ্চলে হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে একাধিক হামলা চালানো হয়েছে।” এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল প্রশিক্ষণকেন্দ্র, যেখান থেকে ‘ইসরায়েলি সেনা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন চলছিল।’
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হামলাকে ‘হিজবুল্লাহ ও লেবানন সরকারের প্রতি স্পষ্ট বার্তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসীকে আঘাত করব এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। হিজবুল্লাহ যদি পুনর্গঠনের চেষ্টা করে, আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাব।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানায়, গত সেপ্টেম্বরে রাদওয়ান ফোর্সের কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর থেকে ইউনিটটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার যেসব স্থানে হামলা হয়েছে, সেখানে অস্ত্র মজুদের পাশাপাশি সামরিক কার্যক্রম চলছিল, যা ইসরায়েল-লেবানন সমঝোতার লঙ্ঘন এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপত্তা হুমকি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লিতানি নদীর উত্তরে সরে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনও সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। একইভাবে ইসরায়েলেরও সেনা প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও তারা এখনো পাঁচটি কৌশলগত এলাকা খলে রেখেছে।