অনলাইন ডেস্ক: লিবিয়ার মিসরাতা শহর সফর করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। সফরে তিনি স্থানীয় বাংলাদেশি অভিবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং একটি গণশুনানিতে অংশ নেন, যেখানে প্রবাসীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে লিবিয়ায় অবস্থানরত দুই হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় ধাপে ধাপে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
রাষ্ট্রদূত জানান, ইতোমধ্যে গত দেড় বছরে আইওএম-এর সহায়তায় ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মিসরাতা সফরের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত ২১৮ জন অভিবাসীর আইওএম নিবন্ধন কার্যক্রমে দূতাবাস সহায়তা প্রদান করেছে।
তিনি জানান, লিবিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালুর কার্যক্রম চলছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যেই এই সেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা ই-পাসপোর্ট হারিয়েছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, তাদের দূতাবাস থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূতাবাস স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে এবং যেকোনো দুষ্কৃতিমূলক ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি প্রবাসীদের সতর্ক ও সচেতন থেকে চলাফেরার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি ও পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে পাঠানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
ভিসা ও আকামা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় রয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। সময়মতো আকামা নবায়ন ও স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সফরের সময় প্রবাসীদের জন্য কনস্যুলার ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবাও প্রদান করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.