
নিজস্ব প্রতিবেদক: মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গতকাল। আজ ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে পবিত্র আরাফাতের ময়দান। পাপমোচনের আকুল বাসনায় মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও মুক্তির প্রার্থনা করবেন তারা।
মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গতকাল। আজ ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে পবিত্র আরাফাতের ময়দান। পাপমোচনের আকুল বাসনায় মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও মুক্তির প্রার্থনা করবেন তারা।
গতকাল সৌদি আরবের মিনায় অবস্থান করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সেখানে নিজ নিজ তাঁবুতে ইবাদতে মশগুল ছিলেন তারা। আজ ফজরের নামাজ আদায় করেই আরাফাতের ময়দানে রওনা হবেন হজযাত্রীরা। তাদের মুখে সমবেত সুরে ধ্বনিত হবে ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকা লাকা’ (অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।
আজকের দিনটিকে হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ দিন আরাফাত দিবস নামে পরিচিত। এই দিনে আরাফাতের ময়দানে হাজিরা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া এবং ক্ষমা ও পাপমোচনের জন্য কান্নাকাটি করেন। আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন হাজিরা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান শেষে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন তারা। রাতে সেখানেই খোলা মাঠে অবস্থান করবেন। এরপর সেখান থেকে প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।
শুক্রবার মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায়ের পর মিনায় যাবেন হাজিরা। মিনায় শয়তানের উদ্দেশ্যে সাতটি পাথর মারা শেষে পশু কোরবানি দেবেন তারা।
এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজপালনের জন্য সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এ সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশী হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮।’