নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নিহত ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের মরদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পান্থশালা ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে, যা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত তাজুল ইসলাম উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ বালুচর গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে মুদি দোকান চালাতেন।
তাজুলের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, “আমি স্বামীর লাশ নিয়ে থানায় যাচ্ছিলাম। ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে হানিফ মাস্টারের লোকজন আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে মরদেহটি ছিনিয়ে নেয়। এর আগেও তারা আমার স্বামীকে গুলি করেছিল। মৃত্যুর পরও শান্তি দিল না।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সায়দাবাদ এলাকায় হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক নারী নিহত হন। একই দিনে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন তাজুল ইসলাম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার ভোরে মরদেহ নিয়ে স্ত্রী রায়পুরায় ফিরছিলেন। ফেরিঘাটে পৌঁছালে অস্ত্রধারীরা গাড়ি থামিয়ে মরদেহটি ছিনিয়ে নেয় এবং গোপনে মামা সেন্টুর বাড়িতে দাফনের প্রস্তুতি নেয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার রহমান বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের একটি পায়ে প্লাস্টার ছিল। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের সদস্য জসিম উদ্দিন দাবি করেন, “এসব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সায়দাবাদ এলাকায় হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.