রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠানের ছোট ভাই আওয়ামী নেতা মোমিন পাঠানের দুই কোটি টাকার রাস্তার কাজ চলছে বিএনপি নেতা রোম বাদশা ও বোরহানের প্রশ্রয়ে। রাজনৈতিক মামলায় আত্মগোপনে থাকলেও থেমে নেই তার কোনো কর্মকাণ্ড।
আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক পৌর মেয়রের ছোট ভাই প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডারবাজি করে রায়গঞ্জ এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বড় বড় প্রকল্পগুলো বাগিয়ে নেন মোমিন পাঠান।
পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মেয়র আব্দুল্লাহ পাঠান ও তার ভাই মোমিন পাঠান আত্মগোপনে চলে যান। মেয়রের ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাই মোমিন পাঠান বেশ কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে বেনামের মাধ্যমে বড় বড় প্রকল্প বাগিয়ে নিয়েছেন। সে সময় আব্দুল্লাহ পাঠান ও মোমিন পাঠানের দাপটে বিএনপি জামায়াত পন্থী কোন ঠিকাদারকে কাজ দিত না।
সম্প্রতি রায়গঞ্জ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোম বাদশা ও পৌর যুবদলের আহবায়ক বোরহান উদ্দিনের প্রশ্রয়ে তার থমকে যাওয়া রায়গঞ্জ এলজিইডির ধামাইনগর হইতে নিমগাছী কড়িতলা পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে পুরোদমে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধামাইনগর হইতে নিমগাছীর কড়িতলা পাঁচ কিলোমিটার সড়কের পুরাতন পিছ ডালাই তুলে ফেলে নতুন খোয়া বালু মিশ্রিত করে রাস্তাটি নির্মাণের কথা থাকলেও ঐ রাস্তাটি বেকু মেশিনে উল্টিয়ে যৎ সামান্য খোয়া ছিটিয়ে রোলারে ডোলে সমান করা হয়েছে। ভ্যানগাড়ীর চাকার ঘর্ষনেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পুরাতন খোয়া গুলো।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই কাজের তথ্যের জন্য উপজেলা এলজিইডির অফিসে গেলে নয়াদিগন্তের রায়গঞ্জ সংবাদদাতা সোহেল রানাকে ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে পৌর বিএনপির নেতা রোম বাদশা ও বোরহান উদ্দিন।
হুমকি প্রদান করায় সংবাদদাতা সোহেল রানা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানা ও সেনাবাহিনী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এমতবস্থায় সাংবাদিক সোহেল রানা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে রাস্তার ঠিকাদার মোমিন পাঠানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কাজ তদারকি দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মামুন বলেন, এই কাজটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একজনের কাজ করছে অন্যজন।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তামান্না রহমানের সঙ্গে এই রাস্তার বিষয়ে, মুঠোফোনে তথ্য চাইলে তিনি জানান, ফোনে না আপনি আমার অফিসে এসে কাজের বিষয়ে তথ্য নিন।