
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রয়োজনের তুলনায় গণশৌচাগার অপ্রতুল থাকায় গ্রাম-অঞ্চল থেকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বেগ পেতে হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষেরা যেনতেনভাবে মুক্তি পেলেও নারীরা পড়েন চরম বিপাকে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মানুষজন নানা কাজে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আসেন। আকস্মিক প্রাকৃতিক কাজের বেগ পেলে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারী ভাবে শৌচাগার থাকলেও বাইরের লোকজন তাতে অনেক সময় বাধার মুখে পড়েন। পুরুষেরা ছোট কাজের জন্য ড্রেন কিংবা পরিত্যক্ত জায়গা পেলে সেখানে কাজ শেষ করে নিস্তার পান। অনেকে আবার কোনো মসজিদের শৌচাগারে চলে যান। তাতেও বিপত্তি! নামাজের ওয়াক্তে শুধু তালা খোলা হয় মসজিদের শৌচাগারগুলোর।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে নারীদের জন্য নেই আলাদা কোনো শৌচাগার বা গণশৌচাগার। এতে তারা খুবই অসুবিধায় পড়েন। বর্তমানে উপজেলা পরিষদের সামনে পরিত্যাক্ত গণশৌচাগার থাকলেও সেটি সব সময়ই থাকে নোংরা ও দুর্গন্ধময়। গণশৌচাগারটি মানসম্মত না হওয়ায় সেখানে কেউ প্রবেশ করে নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে দুর্গন্ধ ঠেকানো দায় হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, গণশৌচাগার নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই উপজেলা প্রশাসনের। তারা শুধু বাসাবাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবহারের জন্য প্রচার-প্রচারণা চালায়। শতভাগ স্যানিটেশনসমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে তাদের হাঁকডাক আছে। কিন্তু বাইরে থেকে আসা মানুষজনের জন্য তাদের কোনো চিন্তা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিত্যাক্ত গণশৌচাগারটি ভেঙ্গে নতুন গণশৌচাগার নির্মাণের বিষয়ে সমন্বয় মিটিং এ আলোচনা হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, পরিত্যাক্ত গণশৌচাগার ভেঙ্গে অতিদ্রুত নতুন গণশৌচাগার নির্মাণ করে দেয়া হবে। আর নারীদের জন্য আলাদা শৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।