রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পিকেএসএফ এর অর্থায়নে ও মানবমুক্তি সংস্থার বাস্তবায়নে কার্পজাতীয় মাছ চাষে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার সফলতা পেয়েছেন চাষীরা। এই পদ্বতিতে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের কার্পজাতীয় মাছ পুকুরে মজুত করে আট মাসের মধ্যে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনে হয়ে থাকে। যেটা প্রান্তিক চাষিদের জন্য ছিল অকল্পনীয়।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ মাছ উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের অনেক মাছ চাষি। আর এই সফলতা দেখে অনেকেই নতুন এ প্রযুক্তির মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় স্থানীয় বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প ও কমন কার্প মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অন্যদিকে কার্পজাতীয় জাতীয় মাছ চাষ করে বাজারজাত করতে এই অঞ্চলের চাষিদের দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতো। তাও ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের বেশি হতো না। এতে অনেক চাষিই কার্পজাতীয় মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়েছে।
এ বিষয়ে মানবমুক্তি সংস্থার মৎস্য কর্মকর্তা অনুকুল চন্দ্র সিনহা জানান, সুস্বাদু কার্পজাতীয় মাছের চাহিদা তৈরি করতেই এই অঞ্চলের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে কৃষকদের মানবমুক্তি সংস্থার পক্ষ থেকে মাছের পোনা ও মাছের খাদ্য বিনামূল্যে দেয়া প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মানবমুক্তি সংস্থার পরিচালক আশরাফুজ্জামান খাঁন সেলিম জানান,
এ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মাছ চাষিরা অল্প সময়ে অধিক লাভবান হবেন। কারণ ৬ থেকে সাত মাসের মধ্যে একটি মাছ দুই থেকে তিন কেজি ওজনের হয়ে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, এই উপজেলার সকল মৎস্য চাষীদেরকে উপজেলা মৎস্য অফিসের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। কার্প জাতীয় পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে অল্প সময়ে মাছের বৃদ্ধি ঘটে, এতে কৃষক অল্প সময়ে অধিক মাছ উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে।