নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মারুফ কারখীকে ছুরিকাঘাত করেছেন এক ছাত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক কিশোরী দৌড়াতে দৌড়াতে চিৎকার করছিল “হেলপ হেলপ”। শিক্ষক মারুফ মোটরসাইকেল নিয়ে তার দিকে এগিয়ে গেলে ছাত্রীটি হঠাৎই তার গলায় ছুরি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিশ্রামে আছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, তার গলায় তিনটি ও হাতে পাঁচটি সেলাই দিতে হয়েছে।
ঘটনার পর উপস্থিত লোকজন ছাত্রীটিকে আটক করে পরিবারের জিম্মায় দেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্কুল ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিৎকার-দৌড়াদৌড়ির ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী বর্তমানে বিজিবি পরিচালিত শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগে তাকে ২০২৩ সালে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
আহত শিক্ষক মারুফ কারখী বলেন, “ছাত্রীটি অতর্কিতভাবে আমার গলায় ছুরি চালায়। হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গিয়ে গুরুতর জখম হই। আমার মনে হয়েছে, আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে সে। ছুরিকাঘাতের সময় উন্মাদের মতো গালাগালি করতে করতে বলছিল, ‘ক্যান্ট স্কুলের যাকে পাব, তাকেই মারব।’”
অভিযুক্ত ছাত্রীর বাবা শাহিন নূর রেজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গাজিউর রহমান জানান, “কলেজের ফটকের সামনে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.