
নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহারে আরও বেশি মনোযোগী হতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাজশাহীতে এক সমাবেশ ও প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে পরিবর্তন (Paribartan), CLEAN, এবং BWGED। বক্তারা সমাবেশে স্লোগান দেন, “জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি হোক আমাদের ভবিষ্যৎ!।
এলএনজি আমদানির কারণে দেশের জনগণ এবং পরিবেশের উপর যে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে, তা তুলে ধরেন বক্তারা। তারা বলেন এলএনজি টেকসই জ্বালানি নয়, বরং এটি এক বিপজ্জনক এবং দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরতাকে স্থায়ী করছে। এলএনজি একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি, এবং বিশ্ববাজারে এর দাম প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রচারাভিযানের অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এলএনজি আমদানি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে জনগণের উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে, পরিবেশের ওপর এর প্রভাব বিপজ্জনক; এলএনজি পোড়ালে বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাসের নির্গমন হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করে এবং জলবায়ু সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
দেশে সৌরবিদ্যুৎ এর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এটি শুধু দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করবে না, বরং আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এসময় বক্তব্য দেন সচেতনের সমন্বয়কারি মাহামুদ উন নবী, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী হাসিবুল হাসান এবং পরিবর্রতনের প্রোগ্রাম অফিসার সোমা হাসান।
কর্মসূচির শেষে, সংগঠকেরা ঘোষণা করেন যে, এলএনজি আমদানি এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশকে একটি পরিবেশবান্ধব শক্তির দেশে পরিণত করার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে।