জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বীর নারয়নপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে সরকারি রাস্তার দু’পাশ থেকে একটি চক্র গাছ বিক্রি করেছেন। গ্রামীন সড়কের পাশ থেকে একের পর এক সরকারি গাছ কাটা হলেও কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি নজর না থাকায় বেড়েই চলেছে গাছ কাটার পরিমাণ। এর আগেও দেখা গেছে যশোরের গ্রামিন সড়কের পাশ থেকে নানা কৌশলে গাছ মারা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে বেশ কয়েকদিন থেমে যায় এই গাছ কাটা চক্রটি। আজ সোমবার (১৩ মে) সকাল ৯ টায় যশোর সদর উপজেলার বীর নারায়নপুর গ্রামে সরকারি রাস্তা থেকে ১৫ থেকে ২০টি মেহগুনি গাছ মারা হয়েছে। এ গাছগুলো মারার সাথেই গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে অন্য স্থানে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ আগেও কয়েক দফায় গাছ মারা হয়েছে এ রাস্তা থেকে। কিন্তু উপর মহলে জানালে কয়েকদিন গাছ মারা বন্ধ থাকলেও পরে আবারও গাছ মারা শুরু করেন এ চক্রটি।
গাছ মারা শ্রমিকরা জানান, আমরা জানা মতে এ গাছ বিক্রি করেছে আলতাফ হোসেন। আর গাছ কিনছে লেবুতলার এক গাছ ব্যবসায়ি। আমরা অনেক সকালে গাছ মারতে আসি। এখন গাছ মারতে নিষেধ করেছে। কিন্তু কোন বিষয় নিয়ে নিষেধ করছে আমাদের জানা নেই। তবে আমরা গাছ মারার সাথেই নিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় সবুর হোসেন জানান, রাস্তার গাছগুলো প্রায় মারা শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র কয়েকটা গাছ আছে। অভিযোগ করলে উপর থেকে লোক আসতে আসতে গাছ মারা শেষ হয়ে যাবে। এ রাস্তা থেকেই কয়েক বছর আগে অনেক টাকার গাছ বিক্রি করছে। আসলে আমাদের দেখা ছাড়া কোন উপায় নেই।
পথচারি হাশেম আলী জানান, রাস্তার গাছ এ ভাবে বিক্রি করা ঠিক না। অনেক গাছই মারা হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইসমাইল হোসেন জানান, সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রি করছে আলতাফ হোসেন। কয়েকদিন আগে গাছের ব্যপারি দেখি গাছগুলো পরিমাপ করছে। আর ব্যাপারিই সুযোগ বুঝে সকালে সকালে গাছ মারা শুরু করছে। গাছ মারার সাথেই গাড়ি করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। যাতে মানুষ বুঝতে না পারে। এ রাস্তার গাছ আগেও কয়েকবার বিক্রি করছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেই গাছ মারা বন্ধ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কয়েকদিন পরে আবারও গাছ মারা শুরু করে। আমরা কয়বার অভিযোগ করবো।
যশোর সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, রাস্তার পাস দিয়ে কোন ব্যক্তি যদিও গাছ লাগাতে পারে। তারপরও ব্যক্তি তার ইচ্ছা মত গাছ মারতে পারে না। যদিও গাছ মারতে পারে সেখানে বহুদিন আইনের সাহায্য নিতে হয়। তবে রাস্তার পাশের গাছ মারতে হলে প্রথমে কমিটি গঠন করতে হয়। তারপর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গাছ মারার পর লাগানো ব্যক্তির জন্য একটা কমিশন দেওয়া হয়।
যশোর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস বলেন, লেবুতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সরকারি রাস্তার গাছ মারার অভিযোগ দেওয়া হয় সকালে। আর তখনই গাছ মারা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং রাস্তা জমি রেখে ব্যক্তির জমি পরিমাপ করে গাছ মারার কথাও বলা হয়েছে।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.