
জেমস আব্দুর রহিম রানা: প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাইকারী চক্রের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। ছিনতাইকারীরা তৈবুর রহমান নামে এক পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল, সোনার অলংকার ও নগদ টাকা ছিনতাই হযরেছে বলে জানা গেছে। যশোরের হামিদপুর ও সিতারামপুরের মধ্যবর্তী স্থানে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ তদন্তে ৫/৬ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র তৈবুর রহমানকে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে মারপিট করে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মোকাদ্দেস হোসেন বাবুর ছেলে পুলিশ সদস্য তৈবুর রহমান (৩৫) ২৫ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরা থেকে যশোরে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিলেন। তার সাথে ভাগ্নের বিয়ের জন্য কেনা সোনার গহনা ছিল। সাথে নগদ টাকাও ছিল। সাতক্ষীরা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য তৈয়বুর মোটরসাইকেল যোগে সাতক্ষীরা থেকে মনিরামপুর ও রাজারহাটে হয়ে হামিদপুরে আসছিলেন। আনুমানিক সকাল দশটায় সীতারামপুর পার হলে হামিদপুরের অদূরে একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। এরপর তাকে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে মারপিট করে। কাছে থাকা নগদ টাকা ও ভাগ্নের বিয়ের জন্য কেনা স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। ছিনতাইকারী চক্রের কয়েকজন আর এম ফাইভ ভার্সন টু একটি মোটরসাইকেল যোগে এসেছিল বলেও তথ্য মিলেছে। তারা তৈয়বুর রহমানকে কলাবাগানে ফেলে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, টাকা ও অলংকার নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে তৈয়বুর রহমানের আত্মীয় স্বজন এবং এলাকার লোকজন ছিনতাইকারি চক্রকে খোঁজার চেষ্টা করে । এরপর সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিল। ছিনতাইকারী চক্রকে ধরার চেষ্টা করছিল।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, অভিযোগটি তিনি পেয়েছেন। তবে ঘটনাটি রহস্যময় মনে হচ্ছে। অভিযোগটি নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে । এ কারণে তদন্ত করা হচ্ছে। ছিনতাই ঘটনা সঠিক হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুতই আটকের আওতায় আনা হবে।