
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে নির্মিত সোলার পাওয়ার প্লান্ট থেকে ১ কোটি টাকার তামা ও আনুসাঙ্গিক মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিক সরকারের দুই ভাতিজা পারভেজ হোসেন পার্থ ও পলাশ সহ ৮ যুবকের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিরাপত্তাকর্মী মেহেদী হাসান অয়ন।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক সরকারের ভাতিজা পারভেজ হোসেন পার্থ (২৬), ও পলাশ (২৪)। মোহনপুর গ্রামের মো. কালাম (২৭), নোমান (২৫), রুহুল আলী (২৮), একই গ্রামের রুবেল আলী (২৭), খলিল আলী (২৩) সারটিয়া গ্রামের ভাঙ্গুরী ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (২৫)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর সকালে বিএনপি নেতা রফিক সরকারের দুই ভাতিজা সহ ৮ যুবক সোলার পাওয়ার প্লান্ট থেকে ১ কোটি টাকার তামা ও আনুসাঙ্গিক মালামাল লুট করে সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্কের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলেন।
এসময় নিরাপত্তাকর্মী নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাঁধা দিলে হকিস্টীক ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলায় নিরাপত্তা কর্মী মেহেদী হাসান অয়ন ও আব্দুল হাকিম আহত হন।
পরে তারা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের মেরে ফেলার হুমকী দেয়। নিরাপত্তা কর্মীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করে।
অভিযোগকারী নিরাপত্তাকর্মী মেহেদী হাসান অয়ন বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযোগ এজাহার হিসেবে অন্তভূক্ত করা হয়নি। পুলিশ বলেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবে। যারা মালামাল লুট করেছে তাদের দুজন বিএনপি নেতা রফিক সরকারের ভাতিজা। তার তদবিরে কারনে হয়তো মামলা এজাহার হিসেবে অন্তভূক্ত করেনি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। দেখি স্যাররা কি পদক্ষেপ নেয়।
এবিষয়ে জানতে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক সরকারকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংএ আছি পরে কথা বলবো।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমি একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিএনপি নেতা রফিক সরকারের দুই ভাতিজা এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ পত্রে তাদের নাম এসেছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।