
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত দুই সপ্তাহ ধরে ধীরগতিতে বাড়লেও গত তিন দিন ধরে তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি গিয়ে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ফুলজোড় ও করতোয়া নদীসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় এটি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা: ১২.৯০ মিটার)। এর আগের দুই দিনে যথাক্রমে ২২ ও ২৩ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
অন্যদিকে, জেলার কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ০৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা: ১৪.৮০ মিটার)। এ পয়েন্টে আগের দুই দিনে পানির বৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ২৪ ও ২২ সেন্টিমিটার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসাইন জানান, “উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের নিচু জমি ডুবে গেছে। আরও দু-এক দিন পানি বাড়বে। তবে বিপৎসীমার কাছাকাছি গেলেও অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই।”