
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। এর আগে গতকাল পানি ৭ সেন্টিমিটার বেড়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, জেলায় বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ (হার্ড পয়েন্ট) এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪৮ মিটার, যা বিপৎসীমার (১২ দশমিক ৯০ মিটার) ৪২ সেন্টিমিটার নিচে। এ পয়েন্টে গত শুক্রবার ২২ ও বৃহস্পতিবার ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির স্তর ৯ সেন্টিমিটার কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৯ মিটার, যা বিপৎসীমার (১৪ দশমিক ৮০ মিটার) ৮১ সেন্টিমিটার নিচে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, পানি কিছুটা কমলেও ভাঙনের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের কৃষক শামীম রেজা বলেন, “যমুনার পানি কিছুটা কমেছে, তবে আবার বাড়তে পারে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের আগেই তীররক্ষা বাঁধ মেরামত করা জরুরি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।”
কাওয়াকোলা বর্ণী গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, “অতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এখন আমরা নদীভাঙনের শিকার হচ্ছি। পানি বাড়লে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা গেলেও সারা বছর তাদের তেমন দেখা যায় না।”
কাজিপুর উপজেলার তেকানী গ্রামের কৃষক কুদ্দুস আলী জানান, “বর্ষার শুরুতেই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। চরাঞ্চলের অনেকের বাড়িতে পানি উঠেছে। জমিতেও পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এবারের পানিতে আমাদের বড় ক্ষতি হবে।”
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান বলেন, “বর্তমানে পানি কমায় ভাঙনের চাপও কিছুটা কমেছে। তবে পানি কমতে থাকলে নতুন করে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শহররক্ষা বাঁধের ৮২ কিলোমিটার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ ও ভাঙনরোধে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে।”