
স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিয়াউর রহমান হাওলাদার (৪৬) নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফেরিঘাট থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মদলের এক নেতা ও হাইয়েস গাড়িসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর ফেরি ঘাটে পুলিশ ফেরি চলাচল বন্ধ করে অপহরণকারীদের বহনকারী একটি হালকা কালো রঙের হাইয়েস মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১২-০০৬১) আটক করে। গাড়ির ভেতর থেকে আহত ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানকে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মোরেলগঞ্জের হোগলাবুনিয়া গ্রামের এইচ.এম খলিলুর রহমান (৪২), গাড়িচালক খুলনার নিরালা গ্রিনভিউ এলাকার এনামুল হকের ছেলে আমিরুজ্জামান খোকন (৫৫), বটিয়াঘাটা উপজেলার দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সত্তার রাজ (৫৫) এবং তেতুলতলা গ্রামের মোয়াজ্জেম হাওলাদার (৪০)। অপহরণ চক্রের আরও কয়েকজন পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান জানান, রবিবার সকাল ৭টার দিকে তিনি নিজ বাড়ির পাশের আমতলী বাজারে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস ও ৪-৫টি মোটরসাইকেলে করে আসা ১৫-২০ জন লোক তাকে ঘিরে ফেলে। পরে তাকে মারধর করে চোখ বেঁধে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা।
জিয়াউরের স্ত্রী ময়না বেগম জানান, স্বামীকে অপহরণের বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ফেরিঘাটে অভিযান চালিয়ে তার স্বামীকে জীবিত উদ্ধার করে।
আটক খলিলুর রহমান বলেন, “জিয়াউরের সঙ্গে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে ভাঙারী ব্যবসা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন রয়েছে। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাকে খুলনায় নেওয়া হচ্ছিল।”
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. মতলুবর রহমান জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশের দুটি দল ফেরিঘাট ও সড়কে তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে ফেরিঘাট থেকে অপহরণকারী হাইয়েস গাড়িটি আটক করা হয়। গাড়ি থেকে আহত অবস্থায় জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার ও চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।