
অনলাইন ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বিশ্বের বড় স্বীকৃত সন্ত্রাসী’ বলেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ভারতকে দায়ী করেছেন তিনি।
মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, ভারত সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গেছে। কানাডার মতো দেশেও ভারত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
ডন জানায়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেছেন-‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত সন্ত্রাসী মোদি’।
সোমবার জিও নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারত শুরু নিজ দেশে নয়, বিদেশেও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়েছে…। তারা কানাডায় গিয়েও শিখ নেতাদের টার্গেট করেছে।
সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে দেয়া এই সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ দাবি করেছেন, পাকিস্তান কূটনৈতিক, সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক—সব দিক থেকেই সাফল্য পেয়েছে এবার। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বড় শিকার। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করছে।
মোদির সাম্প্রতিক টেলিভিশন ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে খাজা আসিফ বলেন, ‘মোদির কথাবার্তায় পরাজয়ের ছাপ স্পষ্ট’। কাশ্মির ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনার দরজা এখনও খোলা আছে-এই স্বীকারোক্তি মোদি দিয়েছেন। এটি পাকিস্তানের জন্য আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু।
খাজা আসিফ বলেন, ভারতের মানুষ মোদির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। ভবিষ্যতে যেকোনও সংলাপে কাশ্মিরসহ সব মৌলিক ইস্যু তুলে ধরবে পাকিস্তান।
আসিফ বলেন, শুধু পাকিস্তানে নয়, কানাডায়ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ভারত। আমাদের পূর্ব সীমান্তে সরাসরি যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি পশ্চিম সীমান্তে তাদের মদতপুষ্ট তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পাকিস্তানে নাশকতা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, দুই দশক ধরে ভারত এদের ব্যবহার করে আমাদের পশ্চিম সীমান্ত অস্থিতিশীল করে রেখেছে। আগে পাকিস্তান পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতো না। ভারতের কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।
খাজা আসিফ বলেন, ১০ মে পাকিস্তান নজিরবিহীন পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে। আমাদের আক্রমণে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাদের গুরুত্বপূর্ণ সব সামরিক স্থাপনা টার্গেট করে আক্রমণ শুরু হয়। ভারত তখন অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত পাঁচটি দেশের সহায়তা চায় যুদ্ধবিরতির জন্য।’