
নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দাওয়া-পাল্টা দাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১২ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গাংনী বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রার্থী হিসেবে আমজাদ হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসে জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মাঠে থেকে সংগঠনকে ধরে রেখেছেন জাবেদ মাসুদ মিল্টন। মামলা, হামলা, নিপীড়নসহ নানা প্রতিকূল অবস্থায়ও তিনি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। অথচ মাঠে অনুপস্থিত একজনকে হঠাৎ মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ কারণে তারা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি তুলছেন।
মেহেরপুর ২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেছেন, মনোনয়ন বঞ্চিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়ালসহ তার ক্যাডার বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। হামলায় অন্তত বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বানী ইসরাইল জানান, উভয়পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।,
															
				
															
								










