মায়ের লাশের পাশে কান্না করা সেই শিশুর পরিচয় মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মায়ের লাশের পাশে বসে কান্না করা সেই শিশু ও তার মায়ের নাম পরিচয় মিলেছে। শিশুটির মায়ের নাম রুনা খাতুন (৪০) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ঘোষপাড়া গ্রামের গোলাপ হোসেন-নাছিমা খাতুন দম্পতির মেয়ে। রুনার স্বামীর নাম ইসরাফিল হোসেন। তার বাড়ি রাজশাহী।

মৃত রুনার ভাবী জুঁই খাতুন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রুনার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে সানজিদা আক্তার সেতু (১৯)। তার বিয়ে হয়েছে। আর ছোট মেয়ের নাম ইশা (৬ বছর)

ফেসবুকে রুনার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন তার পরিবার ঢাকায় পৌঁছায়। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল। দারুস সালাম থানার মাধ্যমে মরদেহ বুঝে নেয় তারা।

উল্লেখ্য, ৬ বছরের ছোট মেয়েকে নিয়ে ঈদের আগেরদিন রোববার (১৬ জুন) মা রুনা খাতুন বাবার বাড়ি আসার উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছিলেন। ঢাকার টেকনিক্যাল মোড়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টারে যাবার পর হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। তার সঙ্গে থাকা অবুঝ শিশুটি মৃত মায়ের পাশে বসে অঝোরে কাঁদছিল।’

হৃদয় বিদারক এ দৃশ্য দেখে তার নাম পরিচয় জানতে ও পরিবারের খোঁজ করতে কেউ একজন মায়ের লাশের পাশে বসে কান্না করা শিশুর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। যা মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

ঢাকার দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল হোসেন বলেন, রোববার রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। সে সময় তার নাম পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা সোমবার বিকেলে থানায় আসলে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।:

দুলাল হোসেন আরও বলেন, সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে ওই মহিলা বাস কাউন্টারে গিয়ে সেখানে শিশুকন্যাকে রেখে ওয়াশরুমে যান। অনেক সময় ধরে তিনি আর ফেরেননি। এদিকে তার শিশুকন্যা কাউন্টারে বসে কান্নাকাটি শুরু করে। তার কান্নাকাটি দেখে পরে কাউন্টারে থাকা অন্যান্য লোকজন ও মহিলারা ওয়াশরুমে দরজা ভেঙে তার লাশ বের করে।

এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে রুনার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায় স্বজনরা। রাতেই তার জানাযা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে পরিবার।

অষ্টমনিশা ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার মজির হোসেন বলেন, প্রথমে জেঠাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় রুনার। পরিবার মেনে না নেওয়ায় ডিভোর্স হয় তাদের। পরে একই ইউনিয়নের সিদ্দিনগর গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে রুনার বিয়ে দেয় পরিবার। ওই ছেলে বিদেশে যায়। পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে ওই ছেলে দেশে ফিরে আসে। কিছুদিন পর মারা যান তিনি। এই সংসারে তাদের বড় মেয়ে সেতুর জন্ম হয়। তারপর রাজশাহীর এক চেয়ারম্যানের (ইসরাফিল) সঙ্গে বিয়ে হয় তার। সেই সংসারে জন্ম হয় ছোট মেয়ে ইশার। পরিবারের সঙ্গে তার সস্পর্ক ভাল ছিল না।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

চৌহালীতে জামায়াতের গণসংযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্য বিরোধী, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কায়েম ও সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে

বেলকুচি আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে এ

দিনাজপুরে মাজারে দুর্বৃত্তের হামলা, অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পীর রহিম শাহ ভান্ডারীর মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজার থেকে

উপকূলের আরো কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, উত্তাল সাগর

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ উপকূলীয় এলাকার আকাশ মেঘলা রয়েছে। অনেক স্থানে

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জ উপজেলা ৭নং নলকা ইউনিয়ন পরিষদের ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ১৫ মে)  সকাল ১০ টায় ৭নং

স্মার্ট ফোন কিনে না দেওয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা

মোঃ রাজিব আলি: লালপুরে স্মার্ট ফোন কিনে না দেওয়াই পরিবারের উপর অভিমান করে মইন আলি (১৩) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। ওই কিশোর লালপুর উপজেলার