নিজস্ব প্রতিবেদক: মায়ের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে কেন্দ্রে পৌঁছেও পরীক্ষা দিতে না পারা রাজধানীর এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর বিষয়ে মানবিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।
শুক্রবার (২৭ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এই শিক্ষার্থীর ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষাটি পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধির আলোকে গ্রহণের উপায় খোঁজা হচ্ছে। এ দুঃসময়ে আমরা তার পাশে আছি। পরীক্ষার্থীকে অনুরোধ করছি, সে যেন উদ্বিগ্ন না হয়।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওইদিন পরীক্ষার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যায়—মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ কেন্দ্রের গেটের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক ছাত্রী।
জানা যায়, তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। সকালে তার মা স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। পরিবারের অন্য কেউ না থাকায় সমস্ত দায়িত্ব নিতে হয় তাকে। পরীক্ষার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রে পৌঁছালেও সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
ঘটনার সময় উপস্থিত অভিভাবক ও পথচারীরা শিক্ষার্থীর দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেন। অনেকেই মন্তব্য করেন, এমন মানবিক বিপর্যয়ের মুহূর্তেও তাকে পরীক্ষা দিতে না দেওয়াটা অনুচিত হয়েছে।
এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ও কি ইচ্ছে করে দেরি করেছে? মাকে স্ট্রোক করে হাসপাতালে রেখে ছুটে এসেছে, এর চেয়ে বড় পরীক্ষা আর কী হতে পারে? তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর পর ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যে আশার সঞ্চার হয়েছে যে, মানবিক মূল্যবোধের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এ পরীক্ষার্থী হয়তো তার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারে।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.