
প্রতিনিধি, মাদারীপুর: মাদারীপুরে বিয়ে বাড়িতে নাচগান নিয়ে হাতাহাতির জের ধরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভাংচুর করা হয় দোকান ও বসতবাড়ি। এতে আহত হয়েছে অন্তত পক্ষে ২০ জন।
শুক্রবার (১৩ জুন)দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা ও উত্তর খাগছাড়া দুই গ্রামের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ জুন) রাতে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কাওসার তালুকদারের মেয়ের বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নাচতে যায় মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাগর বেপারী (সাগর মেম্বার) গ্রুপ ও উত্তর খাগছাড়া গ্রামের হাকিম কাজী গ্রুপের দুই দল কিশোর। এসময় উপস্থিত মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যার পরে উভয় পক্ষের লোকজনসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উত্তর খাকছাড়া নতুন বাজারে শালিস মিমাংসার জন্য বসেন। এ শালিস মিমাংসার মধ্যেই উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে যায়। একপর্যায়ে উত্তর খাগছাড়া ও সুচিয়ার ভাঙ্গা দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই সঙ্গে ভাংচুর করা হয় অন্তত পক্ষে ১৫টি দোকান ও বসতবাড়ি। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তত পক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়া ভাঙ্গা গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে আলামিন সন্ন্যামাত(১৯), আব্দুল রব ঢালীর ছেলে জামাল ঢালী, ছত্তার ঢালীর ছেলে অলিল ঢালী, সিদ্দিক সন্ন্যামাতের ছেলে শাহ আলম সন্ন্যামাত, একই ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কদম চৌকিদারের ছেলে রেজাউল চৌকিদার, হাজী মোতালেব তালুকদারের ছেলে কাওয়াসার তালুকদার, ছোবাহান শিকদারের কামাল হোসেন, বাদল শিকদারের ছেলে সাব্বির শিকদার, শুভ কাজী, রোমান কাজী, আরিফ কাজী, ইব্রাহিম কাজীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহত বেশ কয়েকজন বলেন, মেম্বার তার লোকজন নিয়ে আমাদের এলাকায় নাচতে এসে আমাদের এখানকার মেয়েদেরকে উত্তপ্ত করছে। আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের মারধর করেছে আমরার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সাগর বেপারীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স গিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। আপাতত ওই এলাকায় কোন সমস্যা নেই। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়ার মতো হলে মামলা নেবো।