নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি মন্ত্রণালয় হাতে রেখেছেন।
অনেকেই মনে করছেন যে এই মন্ত্রিসভা পূর্ণাঙ্গ নয়, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হবে। বিশেষ করে সংস্কৃতি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী তার নিজের হাতে রাখবেন না। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা রয়েছে। তবে এই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ কবে হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ব্যাপারে কিছু দিন সময় নিবেন। তারপর মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। তবে কারো কারো মতে এটি খুব দ্রুতই হবে। কারণ অনেকগুলো মন্ত্রণালয় খালি রয়েছে। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বেশি দেরি করবেন না। বিশেষত সংস্কৃতি ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
একাধিক সূত্র বলছে যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সবকিছু মিলিয়ে মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন বা সম্প্রসারণ যে কোনো সময় হতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।'
আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আভাস দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী হয়তো দুই/তিন সপ্তাহ সময় নিয়ে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করবেন। আবার কোনো কোনো সূত্র বলছে যে, নারী সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হতে পারে। আর এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেনি। তবে নতুন যারা মন্ত্রী হয়েছেন তারা আগামীকাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করবেন এবং এই কার্যক্রম শুরু করার পর কিছুদিন ধাতস্থ হওয়ার পরই বোঝা যাবে যে নতুন কারা মন্ত্রী হবেন বা আদৌ মন্ত্রী হবেন কি না।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে প্রধানমন্ত্রী তার বিবেচনায় কয়েকজন মন্ত্রীকে রেখেছেন এবং যারা নতুন মন্ত্রী হতে আগ্রহী তাদেরকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে। নতুন মন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে কারা প্রাধান্য পাবেন সে নিয়ে নানা রকম আলাপ আলোচনা এবং গুঞ্জনও চলছে। তবে বিভিন্ন মহল মনে করছেন যে সংবিধান অনুযায়ী যেহেতু মন্ত্রী নিয়োগের ক্ষমতা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর একক সে কারণে যারাই মন্ত্রী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলাপ আলোচনা করবে তাদেরটা শুধু অনুমান নির্ভর। বাস্তবে তারা কিছুই জানেন না। তবে বিভিন্ন মহল মনে করে যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতাকে দেওয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে একাধিক নাম রয়েছে। তাছাড়া সংস্কৃতি জগতের কাউকে হয়তো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কাকে করা হবে এই নিয়েও বিভিন্ন রকমের আলাপ-আলোচনা আছে। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত মাত্র দুইজন টেকনোক্রেট মন্ত্রী রয়েছে। আরও দুইজন টেকনোক্রেট মন্ত্রী মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.