
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ সালের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী বাছাইয়ে কড়া যাচাই-বাছাই শুরু করেছে বিএনপি। দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে একক প্রার্থী মনোনয়ন নীতিতে যাচ্ছে দলটি। সেই প্রার্থীকে হতে হবে ত্যাগী, সৎ ও জনসমর্থিত—এই তিনটি যোগ্যতা এখন বিএনপির মনোনয়নের মূল মানদণ্ড।
লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের পরই নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে একাধিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও কিছু জরিপ চলমান রয়েছে।
দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, মনোনয়ন বাছাইয়ে বিবেচনায় থাকবে-
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি;
প্রার্থীর সততা ও সমাজে ভালো মানুষের ভাবমূর্তি আছে কিনা;
নিজ এলাকায় ভোটের মাঠে কার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, জনগণের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করেই এবার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। এতে পুরনো ও পরিচিত অনেক নেতাও বাদ পড়তে পারেন।
তরুণদের প্রাধান্য, চমকের ইঙ্গিত
মনোনয়নে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও প্রবীণদেরও মূল্যায়ন করা হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী আসতে পারেন এবং মিত্রদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছে দলটি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এবার এক আসনে এক প্রার্থীই মনোনয়ন পাবেন, ২০১৮ সালের মতো নয়। মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, দলের দুঃসময়ের সাথী এবং যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অপকর্মের অভিযোগ নেই, তারাই অগ্রাধিকার পাবেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত
বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় স্থায়ী কমিটিই পার্লামেন্টারি বোর্ড হিসেবে কাজ করবে। তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নপত্র জমা প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাক্ষাৎকার শেষে বোর্ডই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “বিএনপি আন্দোলন ও সংগঠনের মধ্য দিয়েই নির্বাচনমুখী দল হিসেবে প্রস্তুত থেকেছে, নতুন করে প্রস্তুতির কিছু নেই।”
সবমিলিয়ে, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জন্য এবার কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে—যেখানে ত্যাগ, সততা ও জনভিত্তিই হবে সাফল্যের চাবিকাঠি।