
নিজস্ব প্রতিবেদক: মেরামতের কথা বলে মডেল মসজিদের সীমানার ফেরোসিমেন্ট খুলে নিয়ে পালানোর সময় মালবাহী গাড়িসহ চারজনকে আটক করেছে মুসল্লি ও এলাকাবাসী। আটককৃতরা জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাকা পরিশোধ না করায় কোম্পানির নির্দেশে এই কাজ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার রাতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মডেল মসজিদে এই ঘটনাটি ঘটেছে।’
মডেল মসজিদ নির্মাণকালে ‘এম.আর কনস্ট্রাকশন’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই লক্ষ টাকা পাওনা থাকায় ‘রংপুর স্টিল লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানির পক্ষ থেকে পাওনা টাকা উসুল করতে মসজিদের সীমানার ফেরোসিমেন্ট নিয়ে যেতে এসেছে বলে জানান আটককৃতরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা সুপারভাইজার ইদ্রিস আলী ও ডোমার মডেল মসজিদের খাদেম মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আটকৃত চারজন মসজিদের ফেরোসিমেন্ট গুলো মেরামত করার কথা বলে সেগুলো খুলেছিলো। কিন্তু এশার নামাজের সময় হওয়ায় মুসল্লিরা ২৬ টি ফেরোসিমেন্ট নিয়ে পালানোর সময় গাড়িসহ তাদের সবাইকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের সামনে হইচই শুনে এসে দেখি একটি মালবাহী পিকআপসহ চারজনকে আটকে রাখা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পূর্বের পাওনা টাকা না দেয়ায় তারা মসজিদের মাল নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলো।
আটককৃতরা জানান, রংপুর স্টিল লিমিটেডের এমডি আব্দুল্লাহ হামিম এর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। এক সাথে কাজ করার সুবাধে তিনি ফেরোসিমেন্ট গুলো ডোমার থেকে রংপুর নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আসতে বলেছে। এই পেশার সাথে জড়িত থাকার কারনে এখানে এসেছি এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়বো এটা ভাবিনি।
মডেল মসজিদ নির্মাতা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এম.আর কনস্ট্রাকশন’ এর প্রকৌশলী হামিদুর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ কিছু লেনদেনের কারনে তারা এসব খুলতে এসেছে। তারা এটি অন্যায় করেছেন। আলোচনার মাধ্যমে এটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই প্রকৌশলী।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নিকট মডেল মসজিদ হস্তান্তর করা হয়নি সেহেতু এটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। আটককৃদের ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগকে জানালে তারা আলোচনার মাধ্যমে সেটি সমাধান করেন।’