জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জুলাই বিপ্লবের ৩শ স্প্রিন্টার শরীরে বহন করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সুজন (৪৪)।
সুজন উপজেলার আকালু গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে আহত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকায় পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে তার পরিবার। ঘরে নিয়মিত চুলা জ্বলে না। আত্মীয়দের সাহায্য-সহযোগিতায় খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিন পার করছে। অর্থাভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে না। পক্ষাঘাত আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা এবং তিন সন্তানের পড়ালেখা বন্ধের পথে।
সুজন বলেন, ‘শরীরে ৩শ স্প্রিটার নিয়ে কিভাবে বেঁচে আছি, তা কেউ খোঁজ নেয় না। প্রায় সাত মাস হয়ে গেলো জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। চিকিৎসা তো দূরের কথা, খেয়ে না খেয়ে যে পরিবার নিয়ে কোনোমতে দিন পার করছি, দেখার কেউ নেই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুজন। তিনি সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়ার আশায় এবং তার সুচিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।