ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: টিকটকে নারায়ণগঞ্জের তরুণী সুবর্ণার সঙ্গে পরিচয় হয় বাগেরহাটের তরুণী তন্বীর। সে থেকে গড়ে ওঠে ওদের বন্ধুত্ব, ভালো সম্পর্ক। একপর্যায়ে ওরা প্রেমে পড়েন একে অপরের। বিয়ে করে সারা জীবন একসঙ্গে থাকবেন বলেও শপথ করেন। অবশেষে যেই কথা সেই কাজ! বাগেরহাট গিয়ে তন্বীকে বিয়ে করেন সুবর্ণা। বিষয়টি স্থানীয়রা মানতে না পেরে থানায় জানান। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।
গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) তারা বিয়ে করেন, পরদিন শনিবার পুলিশ এসে তাদের আটক করে। তন্বী আক্তার মোংলার রহমান শেখের মেয়ে, আর সুবর্ণা আক্তার নারায়ণগঞ্জের মো. রবি শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও দুই তরুণী জানায়, টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরে তারা ফেসবুকে যুক্ত হন। সেখান থেকে তাদের শুরু হয় কথোপকথন। যা থেকে তাদের একের প্রতি অপরের তীব্র ভালোবাসার টান তৈরি হয়। এভাবে চলতে থাকে ২ থেকে ৩ মাস। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়তে থাকে তন্বী ও সুবর্ণার। পরিশেষে এ বন্ধুত্ব রূপ নেয় বিয়েতে। মোবাইলের মাধ্যমে পরস্পরকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কোরআন শপথও নেন দুজন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রেমের টানে শুক্রবার (১২ এপ্রিল') রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে সুবর্ণা মোংলায় তন্বীর কাছে ছুটে যান এবং নিজেদের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সারেন। এরপর একসঙ্গে রাতও কাটান। তবে পরদিন সকালে বিয়ের খবরটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বিষয়টি মানতে না পেরে পুলিশকে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ এসে দুজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে সুবর্ণা আক্তার জানায়, ‘আমাদের দুজনের সঙ্গে টিকটকের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়। আমরা কোরআনকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করেছি। আমি এখন আমার বউকে (সঙ্গিনী) নিয়ে যেতে এসেছি। আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না।’
তন্বী আক্তার বলেন, ‘টিকটক থেকে পরিচয় হওয়ার পরে ফেসবুকে তার সঙ্গে অ্যাড হই। পরে সে (সুবর্ণা) একটা গ্রুপে আমাকে অ্যাড করে। আমাকে মজা করে সুবর্ণা বউ বলে ডাকত। সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। পরে কোরআন শরিফ ছুঁয়ে কসম কাটলে আমিও বিয়েতে রাজি হই। তাই সে আমাকে নিতে এসেছে। আমার পরিবার দিলে তার সঙ্গে ঢাকায় যেতে রাজি আছি।’
তন্বীর মা পারভিন বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ওই মেয়েটি পাগল করে ফেলেছে; মেয়ের সঙ্গে কখনও মেয়ের বিয়ে হয় না। বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে, তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এটা বিয়ের কোনো বিষয় না। তারা দুজনেই টিকটক করে এবং দুজনই বান্ধবী। বর্তমানে সুবর্ণা পুলিশ হেফাজতে আছে। তার মা-বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে, আসলে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।’
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.