
অনলাইন ডেস্ক: ভারতের আহমেদাবাদ শহরে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শহরের পুলিশ কমিশনার ‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’কে (এপি) জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়নি। এর অর্থ- উড়োজাহাজে থাকা ২৪২ জন যাত্রী-ক্রু সদস্যের কেউই জীবিত নেই।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজে থাকা ২৪২ জন যাত্রী-ক্রুু’র সবাই নিহত হয়েছেন। এটি ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের এই উড়োজাহাজে মোট ২৪২ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক, ১১ জন শিশু এবং দুই নবজাতক।
যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন।
উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছাকাছি বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে। স্থানীয় পুলিশের ভাষ্যমতে, বিধ্বস্তের সময় হোস্টেলের ডাইনিং হলে অনেক শিক্ষার্থী খাবার খাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন।
দুর্ঘটনার ফলে উড়োজাহাজের পেছনের অংশ ভবনের ছাদে আটকে পড়ে এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন অংশ হোস্টেলের ভেতর ও বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধারকারীরা জানায়, শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই দগ্ধ অবস্থায়।
এই উড়োজাহাজটি ২০১৩ সালে প্রথম উড়েছিল এবং ২০১৪ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বহরে যুক্ত হয়। এটি ড্রিমলাইনার মডেলের প্রথম বড় দুর্ঘটনা।’