
অনলাইন ডেস্ক: দিল্লি-ইসলামাবাদ যু্দ্ধে ফ্রান্সের তৈরি ভারতের রাফায়েল ধ্বংস করেছে চীনের তৈরি পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এ আকাশযুদ্ধ চিন্তায় ফেলেছে বিশ্বের সামরিক বাহিনীগুলোকে। তাই বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতের যুদ্ধে এগিয়ে থাকার কৌশল ও প্রযুক্তি হিসেবে এটা খুবই গুরুত্ব বহন করবে।
উন্নত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দুই বাহিনীর মধ্যকার এমন যুদ্ধ বিরল। যে কারণে তাইওয়ান ও বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে এই ডগফাইটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে। আর এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আকাশযুদ্ধে পাইলট, যুদ্ধবিমান ও এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে কাজ করেছে, তা মূল্যায়নের সুযোগ পাবে অন্যান্য দেশের বিমানবাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, চীনে নির্মিত জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানি পাইলটরা।
আন্তর্জাতিক কৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামরিক মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ডগলাস ব্যারি বলেন, “চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাদের সামরিক বিমানবাহিনীর পদ্ধতি, কৌশল, ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং কী কাজ করেছে, কী করেনি-এসব বিশ্লেষণের জন্য ঘটনাটিকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।”
তিনি আরও বলেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারতের কাছ থেকে এই যুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্য পেতে চাইবে বলে মনে হচ্ছে।
একজন প্রতিরক্ষা শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ‘পিএল-১৫ (চীনা ক্ষেপণাস্ত্র) একটি ঝামেলার নাম। মার্কিন সামরিক বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে চিন্তায় আছে।
পশ্চিমা বিশ্লেষক ও প্রতিরক্ষা খাতের সূত্রগুলোর মতে, এই ডগফাইট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্যই এখনো অজানা। বিশেষ করে, মিটিওর ক্ষেপণাস্ত্র আদৌ ব্যবহার করা হয়েছে কি না কিংবা সংশ্লিষ্ট পাইলটরা কতটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন-এসব বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তিগত পারফরম্যান্সের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির কৌশলগত দিকগুলো আলাদা করাও কঠিন হবে।’