
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে বন্যায় ১৭৪ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে সরকার। দেশটিতে এখনো ৮০ জন নিখোঁজ। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১৪৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু সংখলা প্রদেশেই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার (বিএনপিবি) প্রধান সুহারিয়ান্তো জানান, ‘আজ বিকেল পর্যন্ত শুধু উত্তর সুমাত্রা প্রদেশেই ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪২ জনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ এছাড়া আচেহ প্রদেশে ৩৫ এবং পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে আরও ২৩ জন মারা গেছেন বলেও জানান তিনি।
সুমাত্রার পাদাং পারিয়ামান অঞ্চল কমপক্ষে ১ মিটার (৩.৩ ফুট) পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ওই এলাকায় পৌঁছাতে পারেননি।
উত্তর সুমাত্রার বাটাং তোরু শহরে শুক্রবার বেওয়ারিশ সাতটি লাশ গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে। দ্বীপের কিছু এলাকায় এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার এবং ভূমিধসের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি।
তিনি জানান, শুক্রবার দিনভর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীদের বিমানযোগে পাঠানো অব্যাহত থাকবে।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাত আর বন্যায় থাইল্যান্ডেও বিপাকে পড়েছেন হাজারো মানুষ। সরকারি মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত জানান, ‘দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন প্রদেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১৪৫, যার মধ্যে সংখলা প্রদেশেই ১১০।’ তিনি জানান, বন্যার পানি কমতে থাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম বেগবান হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে পানিতে তলিয়ে থাকা আবাসিক ভবনগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভবনগুলোতে নতুন করে অনেক মৃতদেহ পাচ্ছেন তারা। আর সেজন্যই হঠাৎ করে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
থাইল্যান্ডের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমেছে। তবে কিছু এলাকায় বজ্রঝড়ের সতর্কতা রয়েছে।,











