
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম-অফিস সহকারী আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে শ্রীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
অভিযোগ সুত্র থেকে জানাযায়, পৌর এলাকার সোহাপুর বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তার সার্ভিস বুকে ১৩তম গ্রেডে কাজ করার জন্য শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আবুল হাশেমের কাছে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ করে আসছেন। কিন্তু আবুল হাশেম নানা টাল বাহানা করে। কাজ করে দেবে বলে একান্ত সময় চেয়ে আসছে উচ্চমান সহকারী।
পরদিন ওই শিক্ষিকা আবার শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারীর রুমে গিয়ে সার্ভিস বুক চাইলে আবুল হাশেম তাকে চেয়ারে বসতে বলেন ও ওই শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন। তখন উচ্চ মান সহকারী আবুল হাশেম ওরফে বড়বাবু তার কক্ষের জানালা ও দরজা লাগিয়ে শ্রিলতাহানী করার চেষ্টা করলে ওই শিক্ষিকা চিৎকার করে ওঠে। তার কক্ষের চিৎকার শুনে পাশের রুমে থাকা তামাই যুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা লাবনী এসে তাকে রুম থেকে বের করে নেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানান , আমি শিক্ষা অফিসার বরাবর বড়বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযোগ দেবার ৪ দিন পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে। যার কারণে লিখিত অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আবুল হাশেম ওরফে বড়বাবু জানান, আমার সাথে ওই শিক্ষিকার ভূল বোঝাবুঝি হওয়ার কারণে স্যারের কাছে শিক্ষকা নাজমা অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে লিখিত অভিযোগ তুলে নিয়েছে আর মিমাংসা করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সোহাপুর বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উচ্চমান সহকারী আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ দেবার চার দিন পর তা ওই শিক্ষিকা তুলে নিয়েছেন।