
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিত দুলাল মন্ডল (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে যৌননিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে প্রভাবশালী চক্র ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর নানা ও নানী জানান, বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে দোকানদার মোঃ দুলাল (৫৫) সম্পর্কে মামা হয়। তারপরও লস্পটের কুনজর পড়ে আমার নাতনির দিকে। বাবা মা দরিদ্র হওয়ায় আমাদের বাড়িতেই নাতনি থাকতো। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দোকানে গেলে পিছনের ঘরে নিয়ে সুযোগ বুঝে পাষবিক হিংস্রতায় ঝাপিয়ে পড়ে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের দাগও আছে। এর আগেও কয়েকবার পাষবিক নির্যাতন চালিয়েছে ওই লম্পট। এ কথা কাউকে জানালে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বেন দরবার করে দ্রুত এটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমাদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। থানা পুলিশের কাছে বারবার যাওয়া হলেও তেমন সহায়তা তারা করছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রামের কিছু মাতব্বর মামলা করার উদ্যোগ নিলেও প্রভাবশালী মহল বাধা দিচ্ছে। বিশেষ করে ধর্ষকের ভাই আইয়ুব আলী পরিবারটিকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে মামলা না করার জন্য চাপ দিচ্ছে। ঘটনার পর থেকে পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার এখনো চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।
এদিকে মেয়ের মা-বাবা মেয়েকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরক্ত চিকিৎসক তাকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ভুক্তভোগীর পরিবার বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বেলকুচি থানায় ধরনা দিয়ে বসেও কোন সহযোগিতা পাননি। বেলকুচি থানা পুলিশ প্রভাবশালীদের চাপে মামলা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
বিষয়টি জানাজানি হলে লম্পট দুলাল মন্ডল এলাকার প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় প্রথমে বিষয়টি টাকা দিয়ে মিটমাটের চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও কাজ না হলে সে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি শহিদুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের জানান, এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান রয়েছে।